Thank you for trying Sticky AMP!!

অপুষ্টি দূর করা সরকারের একার কাজ নয়

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। পাশে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের সচিব মো. শাহনেওয়াজ৷ ছবি: প্রথম আলো

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অপুষ্টি দূর করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। শুধু সরকারের একার পক্ষেও এটা সম্ভব নয়। পুষ্টিতে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্য ১৬টি মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয় বাড়াতে হবে।

গতকাল প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত ‘শিশু অপুষ্টি: পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক এনজিও সেভ দ্য চিলড্রেনের সূচনা প্রকল্প, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউকে এইডের সহায়তায় প্রথম আলো এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। খর্বকায় শিশু ও পেট মোটা শিশু এখন কম দেখা যায়। অনেক এনজিও অর্থ ব্যয় করছে, কিন্তু কাজ করছে না। তারা শুধু ‘মুখের কথার সেবা’ (লিপ সার্ভিস) দিচ্ছে। শহরে তাদের সাজানো অফিস আছে, কিন্তু তারা গ্রামে যাচ্ছে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সভাপতি করে জাতীয় পুষ্টি পরিষদ গঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, অপুষ্টির একটি চক্র আছে। অপুষ্টির শিকার মা অপুষ্ট শিশুর জন্ম দেন। সেই শিশু মেয়ে হলে অপুষ্ট কিশোরী হয়। এই চক্র ভাঙতে হলে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের সচিব মো. শাহনেওয়াজ বলেন, সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা (এনপিএএন২) বাস্তবায়নের জন্য। তিনি বলেন, ‘পুষ্টির ক্ষেত্রে আমরা সঠিক পথে আছি। তবে তদারকি জোরদার করার দরকার আছে।’

সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশতিয়াক মান্নান বলেন, গৎবাঁধা পথে চললে অপুষ্টি সমস্যার সমাধান হবে না। সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে, তাই কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। কোথায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ।