Thank you for trying Sticky AMP!!

অবশেষে মামলাটি সিআইডিতে

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় তিন মেয়েসহ মাকে হত্যার মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাদীর নারাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির পর টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের (ঙ অঞ্চল) বিচারক গোলাম কিবরিয়া গতকাল বুধবার ওই আদেশ দেন।
মামলার বাদী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই হত্যাকাণ্ডের ৪ মাস ১৯ দিন পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামল কুমার দত্ত টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেন। গত ২৫ মার্চ টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে বাদী অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দেন। নারাজির বিষয়ে গত ২৮ এপ্রিল আদালত শুনানির তারিখ নির্ধারণ করলেও তা পিছিয়ে যায়। গতকাল বুধবার নির্ধারিত তারিখে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানির পর আদালতের বিচারক ওই আদেশ দেন।
বাদী মোফাজ্জল হোসেন জানান, শুনানিতে আদালত তাঁর কাছে অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজির কারণ জানতে চান। তখন তিনি তাঁকে না জানিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন ও এজাহারভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এরপর আদালত ওই নির্দেশ দেন।
মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মুজিবর রহমানের স্ত্রী হাসনা বেগম (৩৫) ও তাঁর তিন মেয়ে উপজেলার গোড়াই উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিরা আক্তার (১৪), বাক্প্রতিবন্ধী মীম আক্তার (১০) ও ব্র্যাক স্কুলের নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী মলি আক্তারকে (৭) ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে ১০ জনের বিরুদ্ধে মজিবরের শ্যালক মোফাজ্জল হোসেন থানায় মামলা করেন।