Thank you for trying Sticky AMP!!

অর্থ পাচারকারীদের ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেবে দুদক: চেয়ারম্যান

ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি

অবৈধভাবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের টাকা কিংবা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরাতে আবারও তৎপর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যেসব ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করে সেসব দেশেই থাকছেন, তাঁদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

দুদক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, আজ বুধবার কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অর্থ পাচারের অভিযোগে ইতিমধ্যেই অনেক মামলা হয়েছে। আদালতের আদেশ নিয়ে ওই অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে পাচার করা অর্থও ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, যিনি বা যাঁরা অবৈধভাবে ব্যাংকের বা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার করে বিদেশে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ইন্টারপোলসহ আন্তর্জাতিক সব আইনি প্রক্রিয়া ও কৌশল প্রয়োগ করে অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং দেশের সম্পদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া। ফলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কোনো সফলতা আসছে না। বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্তে বেশ কিছু অর্থ পাচারের ঘটনা ধরা পড়লেও ফেরত আনার বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই। ২০১২ ও ২০১৩ সালে তিন দফায় সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকে থাকা খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ২১ কোটি টাকারও বেশি অর্থ ফেরত আনতে পেরেছিল দুদক। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যকে ৩ লাখ মার্কিন ডলার উদ্ধার করে দিয়েছে বাংলাদেশ।

সূত্র জানায়, পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সিআইডি কাজ করছে। কিন্তু এ সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যে কারণে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। তবে এবার এককভাবে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নিচ্ছে দুদক। এ ক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে অবস্থানরত দেশীয় দূতাবাসগুলোকে দুদককে সহযোগিতা করতে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ পেয়েছে দুদক।