Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ত্রগুলো ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী ও র্যাব

উদ্ধার করা ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরকারকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন আদালত। সেই আদেশের পর ওই সময়ে গঠিত র‌্যাবকেই দেওয়া হয় বেশির ভাগ অস্ত্র। বাকি অস্ত্র দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে।

আদালত একই সঙ্গে প্রতি তিন মাস পর এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে আদালত সূত্রে জানা যায়, তিন বছর ধরে র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হয়নি।

জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও জনসংযোগ শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এ টি এম হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের সব নির্দেশনাই র‌্যাব পালন করেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, এ ব্যাপারে তারা কিছু জানে না। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটি ঘাটে আটক করা ১০ ট্রাক অস্ত্রের মধ্যে ছিল উজিগান, টমিগান, এসএমজি, এমএমজিসহ এক হাজার ৭৯০টি অস্ত্র। বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি, ছয় হাজার ৩৯২টি গুলির ম্যাগাজিন, ২৭ হাজার ২০টি গ্রেনেড এবং ১৫০টি রকেট লঞ্চার।

 তৎকালীন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ২০০৪ সালের নভেম্বরে একটি মিস মামলা করলে তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ ফজলুল করিম প্রতি তিন মাস পর অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার শর্তে আটক অস্ত্রগুলো সরকারকে ব্যবহারের অনুমতি দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার হোসেন আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। আগের সব প্রতিবেদন মামলার নথির সঙ্গে রাখা আছে। সর্বশেষ পাওয়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১০ সালের ২০ জুলাই র‌্যাবের তৎকালীন পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) বখতিয়ার আলম অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। ওই প্রতিবেদনে র‌্যাব কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, চট্টগ্রামে উদ্ধার হওয়া এবং সেনানিবাস (সিএডি) থেকে সংগ্রহ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ র‌্যাব ব্যবহার করছে।