Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ত্র মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রনির বিচার শুরু

নুরুল আজিম

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম ওরফে রনির বিরুদ্ধে পুলিশের করা একটি অস্ত্র মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সপ্তম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরার আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। আগামী ১০ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রেখেছেন আদালত।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ মামলায় নুরুল আজিমের সর্বোচ্চ ১৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৭ মে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন চলাকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের পাশ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ব্যালট পেপারে ব্যবহৃত একটি সিলসহ নুরুল আজিমকে আটক করে বিজিবি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভোটকেন্দ্রে অবৈধ প্রবেশ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ইউপি নির্বাচন আইনে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পরে তাঁর মুক্তির দাবিতে ওই বছরের ৮ মে থেকে টানা প্রায় এক সপ্তাহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। ৩০ জুন নুরুল আজম জামিনে মুক্তি পান। আর সাজা হওয়া দুই বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেন।
তদন্ত শেষে হাটহাজারী থানায় করা অস্ত্র মামলায় নুরুল আজমের বিরুদ্ধে পুলিশ ১৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে ২১ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ, পাবলিক, বিজিবির সদস্যদের পাশাপাশি একজন বিচারিক হাকিমও রয়েছেন।
আসামির আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল আজিমকে নির্দোষ দাবি করে অভিযোগ গঠন থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। সেখানে বলা হয়, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
সরকারি কৌঁসুলি রুবেল পাল বলেন, আদালত আসামি নুরুল আজিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। অভিযোগ গঠনের পর আসামিকে তা পড়ে শোনানো হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।