Thank you for trying Sticky AMP!!

অ্যানথ্রোপলজি রেলিভেন্সের করোনা উদ্যোগ

মৌলভীবাজারে পাঙ্গন ও বিষ্ণুপ্রিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে অ্যানথ্রোপলজি রেলিভেন্সের দেওয়া খাদ্যসামগ্রী। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

‘অ্যানথ্রোপলজি রেলিভেন্স’ নৃবিজ্ঞানের কয়েক শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত একটি প্ল্যাটফর্ম। এর উদ্দেশ্য মানুষের কাছে নৃবৈজ্ঞানিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু করোনাকালে এই প্ল্যাটফর্ম এগিয়ে এসেছে মানবিক কিছু সহায়তা নিয়ে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অ্যানথ্রোপলজি রেলিভেন্স ইতিমধ্যে চারটি ধাপে প্রায় ১০০টি পরিবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছে। এ ক্ষেত্রে ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীগত বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করা হয়েছে। উদ্দেশ্যমূলক ও স্নো-বল নমুনায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে সংগঠনটি উপকারভোগীদের নির্বাচন করেছে।

এই উদ্যোগের চতুর্থ ধাপে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার আদমপুরবাজার ও কান্দিগাঁও গ্রামে ২০টি পাঙ্গন ও বিষ্ণুপ্রিয়া পরিবারের মধ্যে উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়। উপহারসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল (৫ কেজি), ডাল (১ কেজি), সয়াবিন তেল (১ লিটার), চিনি (১ কেজি), আলু (১ কেজি), লবণ (১ কেজি) ও পেঁয়াজ (১ কেজি)। এর পাশাপাশি নৃবিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি পরিবারকে এক মাসের প্রয়োজনীয় উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়। তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার চর দুর্গাপুর, রামদেবপুর ও বাহির শিমুল এলাকায় ২৫টি পরিবারের মধ্যে এসব উপহার দেওয়া হয়।

দিনাজপুরে অ্যানথ্রোপলজি রেলিভেন্সের পক্ষ থেকে ভরণপোষণহীন বয়স্কদের দেওয়া হয় অর্থসহায়তা। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

অন্যদিকে দ্বিতীয় ধাপে গত ১০ মে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে ২০টি বাঙালি এবং ১০ দশটি সাঁওতাল পরিবারের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে উপহার দেওয়া হয়। এখানে এমন বয়স্কদের নির্বাচন করা হয়েছে, যাদের সন্তানেরা তাদের ছেড়ে আলাদা থাকে এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করে না। আর করোনা সংকটের শুরুর দিকে ঢাকার তুরাগ থানার পাকুরিয়া, তালটেক এবং ময়মনসিংহ ও যশোরের ১৫টি পরিবারের মধ্যে উপহার পৌঁছে দেওয়া হয়। অ্যানথ্রোপলিজ রেলিভেন্সের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী ধাপে বিউটি পারলারের সঙ্গে যুক্ত গারো নারী এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যানথ্রোপলিজ রেলিভেন্স। ইচ্ছুক যে কেউ এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।