Thank you for trying Sticky AMP!!

আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা ২৮ ডিসেম্বর

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২৮ ডিসেম্বর শনিবার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে তা ঘোষণা করা হবে বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।

নির্বাচনের মাত্র আট দিন আগে ইশতেহার ঘোষণার খবর দিল দলটি। যদিও ১৯৯০ সালের পর প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি দলের কাছেই ইশতেহার ঘোষণা নির্বাচনের একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল।

২০০৮ সালের নির্বাচনের ১৭ দিন আগে ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১১ ডিসেম্বর। পরদিন ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ইশতেহার ঘোষণা করে।

গত নির্বাচনের ‘দিনবদলের সনদ’ নাম দিয়ে ঘোষণা করা আওয়ামী লীগের ইশতেহার তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে।

নাম না প্রকাশ করে দলীয় সূত্রগুলো জানায়, আসন ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এবার ইশতেহারের বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ নেতারা তেমন গা করেননি। এমনকি প্রার্থীরা নিজ এলাকায় গিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির বিষয়েও কিছু বলে উঠতে পারেননি।

এর আগে ইশতেহার তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন প্রথম আলোকে বলেন, ইশতেহার তৈরি হয়ে গেছে। শিগগিরই ঘোষণা করা হতে পারে।

ইশতেহারে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যা যা করণীয়, সব বলা হয়েছে। এ ছাড়া রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের পথে যেসব কাজ বাকি আছে, সেগুলো কখন কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেটি থাকছে।

আওয়ামী লীগের বাইরে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও তরীকত ফেডারেশনও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেনি।

জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ দলের তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। দলটিও নির্বাচনী ইশতেহার এখনো দেয়নি।

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘ইশতেহার তো দিতে হবেই। গতবার যেগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন ইশতেহার দেওয়া হবে।’