Thank you for trying Sticky AMP!!

পবিত্র শবে বরাত ১৮ মার্চ

বাংলাদেশের আকাশে আজ বৃহস্পতিবার কোথাও ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল ৪ মার্চ শুক্রবার পবিত্র রজব মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ৫ মার্চ শনিবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৮ মার্চ শুক্রবার (১৪ শাবান ১৪৪৩, ৪ চৈত্র ১৪২৮) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত উদ্‌যাপিত হবে।

আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

সভায় ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আজ ২৯ রজব ১৪৪৩ হিজরি (১৮ ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ৩ মার্চ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু আ আউয়াল হাওলাদার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মুশফিকুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ওয়াক্‌ফ প্রশাসনের উপসচিব মো. রায়হান কাওছার, ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর ফরহাদ শামীম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার উপাধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহ ও চকবাজার শাহি জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতটি মুসলমানরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে উদ্‌যাপন করে থাকেন। এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।

মহিমান্বিত এই রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন। শবে বরাত মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়।