Thank you for trying Sticky AMP!!

গত ২২ মার্চ কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৯ সহ পাঁচটি শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে় রোহিঙ্গাদের বসতি পুড়ে ছাই হয়ে যায়

আগুন নিয়ন্ত্রণে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ব্যবস্থা কেন নয়

আগুন নিয়ন্ত্রণে যেকোনো ফলপ্রসূ ব্যবস্থার মূল কথা মানুষের সম্পৃক্ততা, লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার আর আর্থিক বাস্তবতার নিরিখে বিকল্প অনুসন্ধান।

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে আগুন লাগা ক্রমেই নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ছোট আগুন হরহামেশা লাগছে। শুধু বড় আগুনের খবর আসে গণমাধ্যম পর্যন্ত। সে রকম বড় আগুন চলতি বছর গড়ে প্রতি মাসে একবার করে লেগেছে। সর্বশেষ আগুন লাগে পবিত্র ঈদুল আজহার ঠিক আগের দিন, ২০ জুলাই; বালুখালী ক্যাম্পে। বালুখালীতে ৮ হাজার ৬০০ পরিবারের ৩৩ হাজার শরণার্থীর বসবাস। সেদিন সন্ধ্যায় উখিয়ার পানবাজারের কাছে বালুখালীর ক্যাম্প-৯, ব্লক এইচ-২–এর অন্তত ৬৩টি বসতঘর পুড়ে যায়। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অনেক রোহিঙ্গা পরিবারে গ্যাসের চুলায় রান্নাবান্নার বিশেষ আয়োজন চলছিল তখন। এপিবিএনের সদস্য, উখিয়া ফায়ার সার্ভিস এবং ক্যাম্পের লোকজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ঘণ্টাখানেকে। ওই ক্যাম্পে বসতঘর আছে ১১৫টি।

রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকে নাশকতার গন্ধ পান। কেউ কেউ বলেন, রোহিঙ্গা পরিবারগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত না হওয়ায় আগুন লাগছে বারবার। তবে মার্চের প্রাণঘাতী আগুনকে ‘পরিকল্পিত’ দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ রোহিঙ্গারা। একে বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার এবং ওপারের ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন তাঁরা। সেসব চিন্তা ও ধারণার খবর মন্তব্যসহ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তখন ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, ‘আগুনের পেছনে যদি রোহিঙ্গারাও জড়িত থাকে, তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি জানিয়েছিলেন, ‘এটি নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

তবে নাশকতা থাকুক বা না থাকুক; বনকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার সহজ বিকল্প হিসেবে গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণের পর থেকে আগুনের ঘটনা যে বেড়ে চলেছে, তাতে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।

মার্চের ২২ তারিখে লাগা সেই আগুনে পুড়ে মারা যায় কমপক্ষে ১১ শরণার্থী। পুড়ে যায় উখিয়ার বালুখালীর ১০ হাজারের মতো শরণার্থী কুঠির। বিকেল থেকে শুরু হওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পরদিন দুপুর পেরিয়ে যায়। তবে চলতি বছরের প্রথম বড় আগুনের খবর আসে জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে। তা ছিল নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড শরণার্থীশিবিরের ঘটনা। ইউএনএইচসিআর পরিচালিত এই কেন্দ্রে পুরোনো শরণার্থীরা থাকে। ১৯৯১ সালে আসা এবং প্রত্যাবাসনে রাজি না হওয়া অথবা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের তালিকায় নাম না থাকা রোহিঙ্গাদের এখানে রাখা হয়েছে। গভীর রাতে লাগা আগুন ৩-৪ ঘণ্টার চেষ্টায় পরদিন ভোরে নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই আগুনে স্থানীয় বাসিন্দার দুটি ঘর ও একটি কমিউনিটি সেন্টারসহ কেন্দ্রের প্রায় ৪৩৫টি খুপরি ঘর পুড়ে যায়। স্থানীয়দের ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূত্রপাত। সব বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় সেখান থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এপ্রিলে আবার আগুন লাগে বালুখালী ক্যাম্প-১০–এর এইচ ব্লকে। সেবার প্রাণহানি না ঘটলেও বেলা আড়াইটায় লাগা সেই আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই বেশ কতগুলো ঘর পুড়ে যায়। এসে রোহিঙ্গাদের হামলার শিকার হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে তাঁরা বিশেষ কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া উখিয়ায় ফায়ার সার্ভিসের অফিসে ফিরতে সক্ষম হন। ওই আক্রমণের কারণ কিন্তু অজানা থেকে যায়।

আলোচিত আর আলোচনার বাইরে থাকা আগুনের সূত্রপাত হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে। নানা আলামত দেখে ফায়ার সার্ভিসের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে সে রকমই বলেছিলেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখলে আসল কারণ আর ধারণার গরমিল জানা যেত।

গ্যাস সিলিন্ডারের বিকল্প কী

নাশকতা হোক বা সরল দুর্ঘটনা হোক—দুই ক্ষেত্রেই ঝুঁকি বাড়িয়েছে সিলিন্ডার। তবে তার মানে এই নয় যে বন-জঙ্গল ধ্বংস করে জ্বালানি কাঠের সনাতন পরিবেশবিধ্বংসী ব্যবস্থায় ফিরে যেতে হবে। আমাদের প্রশ্ন, গ্যাস সিলিন্ডার চালুর আগে কি সম্ভাব্য বিকল্পগুলো নিয়ে যথেষ্ট তথ্য-তালাশ করা হয়েছিল? নাকি বিশেষ কারও ব্যবসায়িক স্বার্থ দেখা হয়েছে? তবে স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশে সহায়ক প্রপঞ্চগুলো যে আমলে নেওয়া হয়নি, তা তো পরিষ্কার। বিকল্প খোঁজা অথবা বিকল্প বাতিলের সভায় কি স্থানীয় জনগণের আয়-রোজগারের পথ বাড়ানোর বিষয় ভাবা হয়েছিল?

যেমন শরণার্থীদের খাদ্যতালিকার অন্যতম দুটি উপাদান শুঁটকি আর লবণের প্রধান উৎপাদনকেন্দ্র কক্সবাজার হলেও স্থানীয় লবণচাষি আর শুঁটকি উৎপাদকেরা এখন পর্যন্ত সরাসরি তেমন কোনো সুবিধা পাননি। ১০ লাখ মানুষের খাবার লবণ আর শুঁটকি মাছ স্থানীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ ক্রয়ের একটা গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা চার বছরেও গড়ে তোলা হয়নি। এই লক্ষ্যে নেওয়া সব ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন পাইলট গবেষণার পর্যায়েই থেকে গেল।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঝুঁকি কমিয়ে সাশ্রয়ী আর পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হতে পারত ধানের তুষ থেকে তৈরি জ্বালানি দণ্ড বা চারকোল (সিআরএইচ)। আশির দশকে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া কম্বোডিয়ার লাখ লাখ শরণার্থীর জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য এ ধরনের জ্বালানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রধান ধান উৎপাদনকারী দেশ থাইল্যান্ডের অর্থনীতিকে চাঙা করতে এই উদ্যোগ তখন যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছিল। এতে চাষিরা ধানের ভালো দাম পেয়েছিলেন। ধানের তুষ থেকে জ্বালানি উৎপাদনের ছোট–বড় নানা মাপের কারখানাও গড়ে উঠেছিল। কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেসব কারখানার প্রযুক্তি উন্নয়নে দেশটির প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে আসে এবং নানা সাশ্রয়ী মডেল উদ্ভাবিত হয়।

কম্বোডিয়ায় শরণার্থীরা ফিরে গেছে সেই কবে, কিন্তু ধানের তুষ থেকে সাধারণ চুলায় ব্যবহারযোগ্য খড়ি উৎপাদনের প্রযুক্তি থাইল্যান্ডের রপ্তানি তালিকায় যুক্ত হয়ে যায়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জ্বালানির প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশে এই প্রযুক্তি আসে ১৯৯৩-৯৪ সালে। পরে সাশ্রয়ী এই জ্বালানি সারা দেশে ছড়িয়েও পড়ে।

লাভ–লোকসানের অঙ্ক আর বিতরণ সুবিধার কথা একমাত্র বিবেচ্য হলে সিলিন্ডার হয়তো কিছুটা এগিয়ে থাকবে। কিন্তু স্থানীয় মানুষদের কর্মসংস্থানের কথা ভাবলে তুষের খড়ি কারখানা ঘিরে কৃষিভিত্তিক হালকা কলকারখানা গড়ে ওঠার সম্ভাবনাকে আমলে নিলে পাল্লা অন্যদিকে ঝুঁকবে। পাটিগাণিতিক লাভ–লোকসানের হিসাবের বাইরে আর্থসামাজিক উন্নয়নের একটা হিসাব আছে। নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরির বিষয়টিও ত্রাণতৎপরতার অংশ। কাছের হিসাব, দূরের হিসাব—দুটো মিলেই প্রকৃত লাভ–লোকসানের হিসাব। সেই যুক্তিতে তুষের খড়ির উৎপাদন ও বিতরণ সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে। এতে বড়, বিধ্বংসী আগুনের ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি স্থানীয় কর্মসংস্থান এবং সারা দেশের ধান উৎপাদক কৃষকদেরও উপকার হবে।

গ্যাস সিলিন্ডার কি বন ধ্বংস বন্ধ করতে পেরেছে?

এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য একদল গবেষক কাজও করেছেন। ‘ইমপ্যাক্ট অব এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন এমং দি রোহিঙ্গা অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটিস অব কক্সেসবাজার সাউথ ফরেস্ট ডিভিশন অন ফরেস্ট রিসোর্সেস’ শীর্ষক এই গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় সবার কাছে গ্যাস পৌঁছানোর পরও কাঠের চুলার ব্যবহার একেবারে বন্ধ হয়নি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে বছরে প্রায় ৩৭ হাজার টন বনজ জ্বালানি কাঠ ব্যবহার হচ্ছে দক্ষিণ কক্সবাজারের আলোচিত এই এলাকায়।

বাস্তবতা কী বলেন? পূর্ণ গ্যাসের আওতায় আসার পরও ঢাকা শহরে জ্বালানি কাঠ বা লাকড়ির দোকান বন্ধ হতে কত সময় লাগল! বিশেষ বিশেষ রান্নার জন্য অনেক বাড়িতেই সমান্তরালভাবে গ্যাসের চুলার পাশাপাশি কাঠের চুলা বহাল তবিয়তে থেকে যাওয়ার কাহিনি অনেক পুরোনো। একইভাবে শরণার্থী আর আশ্রয়দাতা সমাজে সিলিন্ডার সহযোগিতা দেওয়ার পরও লাকড়ির ব্যবহার একেবারে বন্ধ হয়নি, হবেও না। এই অবস্থাও তুষের খড়ির পক্ষে একটা বড় যুক্তি।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা কীভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করত?

শত সাবধানতার পরও হঠাৎ কোনো অসাবধানতায় বা দুর্ঘটনায় আগুন লেগে যেতে পারে। ছোট আগুন থেকেই বড় আগুন তৈরি হয়, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, ফায়ার সার্ভিসকে ডাকতে হয়। তারা যত তাড়াতাড়িই আসুক না কেন, ক্ষতিগ্রস্তরা মনে করেন ‘অনেক দেরি করে এসেছে।’ এসব প্রতিকূল অবস্থা বিবেচনায় আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আগুনের ঝুঁকি হ্রাসের প্রাথমিক দায়িত্ব সমাজের সদস্যদের দেওয়া হয়। গড়ে তোলা হয় সিভিল ডিফেন্স। সিভিল ডিফেন্সের মূল শক্তি হচ্ছে সংগঠিত জনগণ।

ইতালি, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যের তিনজন বিশেষজ্ঞ দুই সপ্তাহের একটি মিশনে ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন। তাঁরা দেশের বিদ্যমান অগ্নি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ও কৌশলকে কীভাবে আরও কার্যকর করা যায়, সে পরামর্শ দেবেন। দুই সপ্তাহের জাদুকরী কনসালটেন্সি সেরে আবার উড়াল দেওয়ার আগে সেই বিশেষজ্ঞরা ২৯টি পরামর্শের মুক্তা ছড়িয়ে আর একটি আগুনে সাড়া দেওয়ার (রেসপন্স) ছক হাতে ধরিয়ে দিয়ে যান। তাঁদের মূল কথা কী ছিল? আরও যন্ত্রপাতি ক্রয় করো, ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন বানাও, লোক নিয়োগ দাও, প্রশিক্ষণ দিয়ে হাত পাকাও, ক্যাম্পের হালনাগাদ মানচিত্র বানাও, পকেটে পকেটে ঢুকিয়ে দাও জিপিএস, উড়াও ড্রোন আর হেলিকপ্টার। ক্যাম্পের ঘরে ঘরে ঝুলাও ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ারের কর্মীদের জন্য কেন অগ্নিনির্বাপক মোটরসাইকেল ইত্যাদি ইত্যাদি।

বলা বাহুল্য, এসব শানশৌকতি পরামর্শ হালে পানি পায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের রোজগার হয়েছে ভালো। যাঁদের ঘরে আগুন লাগে, যাঁদের হাত আগুনে পোড়ে; তাঁদের হাত শক্তিশালী করার কথা সেই পরামর্শে নেই। শরণার্থীদেরও কেউ জিজ্ঞাসা করেনি তাদের দেশে তারা আগুন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে?

রোহিঙ্গাদের দেশে আগুন ব্যবস্থাপনার পুরাটাই সমাজভিত্তিক ব্যবস্থাপনা। সেখানে প্রতিটি গ্রামে একটা ফায়ার ওয়াচ পোস্ট আছে। তাতে আছে একটা ঘণ্টা, কয়েক বালতি পানি আর বালু। আর আছে আগুনের ওপর বাড়ি দেওয়ার জন্য লম্বা বাঁশের মাথায় লাগানো ব্যাট আর লোহার পাতের ঝাড়ু। আর আগুন লাগা ঘরগুলো আলাদা করার জন্য আরেকটা বাঁশের মাথায় থাকে আংশি বা হুক। পানি, বালু, আংশি, ব্যাটার—এগুলো গ্রামের প্রতিটি বাড়ির সামনে রাখা বাধ্যতামূলক।

সেখানে এভাবে গ্রামের বেশির ভাগ আগুন শুরুতেই এসব দিয়ে গ্রামবাসী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। রোহিঙ্গাদের দেশের এই ব্যবস্থা দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার একটি ভালো উদাহরণ হিসেবে সবার প্রশংসা পেয়েছে। এই ব্যবস্থা এ দেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনুশীলনে বাধা কোথায়?

মোদ্দা কথা; আগুন নিয়ন্ত্রণে যেকোনো ফলপ্রসূ ব্যবস্থার মূল কথা মানুষের সম্পৃক্ততা, লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার আর আর্থিক বাস্তবতার নিরিখে বিকল্প অনুসন্ধান। আমাদের সে পথেই হাঁটতে হবে।

● লেখক, গবেষক nayeem5508@gmail.com