Thank you for trying Sticky AMP!!

আজাদীর অর্জন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য গৌরবের

আজাদীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের র‍্যাডিসন ব্লু বে ভিউ হোটেলে আয়োজিত মিলনমেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন দৈনিক ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদকেরা l ছবি: সংগৃহীত

ষাটের দশকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে যত আন্দোলন হয়েছে তার সবকিছুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিল আজাদী। চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত এ দৈনিক পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সাফল্যের সঙ্গে টিকে আছে। পাঠকপ্রিয়তাও পেয়েছে। আজাদীর এই অর্জন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য গৌরবের। চট্টগ্রাম নগরের র্যা ডিসন ব্লু বে ভিউ হোটেলে গত শনিবার রাতে আয়োজিত এক মিলনমেলায় আজাদী পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন। ৫৭ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দৈনিক আজাদী কর্তৃপক্ষ এ মিলনমেলার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেকের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দ্য নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, দৈনিক ইত্তেফাক–এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকম সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে এম এ মালেক বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে গর্বের বিষয় হচ্ছে আমাদের পাঠকসমাজ। চট্টগ্রামবাসীর কাছ থেকে আমরা যদি ভালোবাসা আর সমর্থন না পেতাম তাহলে এত বছর আমাদের টিকে থাকা সম্ভব হতো না।’
৫৭ বছর ধরে পথচলার সাফল্য কেবল আজাদীর একার নয়, যাঁরা গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সবার বলে মন্তব্য করেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর লোকসান দিয়ে পত্রিকাকে চালিয়ে নেওয়ার উদাহরণ দেশে ৫৭ বছর বয়সী এ আজাদী পত্রিকারই রয়েছে। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, জয় বাংলা, বাংলার জয় স্লোগানে স্বাধীনতার প্রথম প্রহর ১৭ ডিসেম্বর দৈনিক আজাদীর প্রকাশ ঐতিহাসিক। ঢাকায় থাকলেই জাতীয়, ঢাকার বাইরে হলে আঞ্চলিক এ মানসিকতা ঠিক নয়।
অনুষ্ঠানে লিখিত শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মুহাম্মদ সিকান্দর খান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি এম এ ছালাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, বাসস-এর প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক তছলিম উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক ওসমান গণি, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক, একুশে টিভির মাহমুদুর রহমান, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।