আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস
আজ রোববার ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন উপলক্ষে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন’।
১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে সাম্যবাদী নারীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করেন জার্মান কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেত্রী ক্লারা জেৎকিন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯১০ সালে নারী দিবসের ঘোষণা, এরপর পার হয়েছে ১০০ বছর।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশের নারীদের অগ্রযাত্রা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় নারীর অবস্থান আশাতীতভাবে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, নারীর প্রতি বৈষম্য কমতে শুরু করেছে। তবে তা সম্মানজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, ‘নারীর মানবাধিকারের বিরুদ্ধে আঘাতের ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই পরিষ্কার বৈশ্বিক অবস্থান নিতে হবে।’
দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি জ্বালিয়ে আঁধার ভাঙার জন্য শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সেমিনারের আয়োজন করে। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এবং গুলশান লেডিস ক্লাব দিবসটি উপলক্ষে মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য কারাতে প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
দিবসের কর্মসূচি: আজ মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বলে জানানো হয়েছে। নারীপক্ষ বিকেল সাড়ে চারটায় ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে বাল্যবিবাহ বন্ধ করো, নারী নির্যাতন রোধ করো প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন
-
আগামীকালও ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ
-
সামান্য রদবদলে নতুন টেলিযোগাযোগ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় পালা বন্ধ হচ্ছে, শাখা ক্যাম্পাস হবে আলাদা প্রতিষ্ঠান
-
দাবদাহের বিপদে রাজধানীর ৯০% এলাকা