Thank you for trying Sticky AMP!!

আত্মপরিচয়ের সংকট দূর করতে প্রয়োজন ঐতিহ্যের চর্চা

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

মানুষের জীবনের একটি অমূল্য পাওয়া জাতিগত আত্মপরিচয়। নিজের ঐতিহ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান ও চর্চার ঘাটতি আত্মপরিচয়ের সংকট তৈরি করে। এই সংকট দূর করতে নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা এবং এর চর্চা করা চাই।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের কুইনমেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মিলনায়তনে রোববার বিকেলে ‘মেমোরি অ্যান্ড আইডেনটিটি’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের আত্মপরিচয়ের স্বরূপ বিশ্লেষণের লক্ষ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুক্তরাজ্য শাখা।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, পূর্ব প্রজন্মের ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কাজটি পূর্ব প্রজন্মকেই দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। নতুন প্রজন্ম যাতে নিজের পূর্বপুরুষের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে আত্মপরিচয়ের সংকট দূর করে একটি আদর্শ জাতিসত্তার বিনির্মাণ সম্ভব। অন্যথায় নতুন প্রজন্ম তাদের গর্বের, অহংকারের স্মৃতি খুঁজে পাবে না। তাদের চিন্তার জগৎ এলোমেলো হয়ে যাবে। 

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আরও বলেন, ‘প্রতিটি প্রজন্মের কাছে সময়ের একটি দাবি থাকে। আর সে দাবিটি হলো ইতিহাসের অন্তরাল থেকে গৌরবের ও ঐতিহ্যের স্মৃতিগুলো তুলে এনে নতুনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কাজটি ঠিকভাবে করা গেলে বাঙালি সংস্কৃতি ভালোবাসতে আমাদের সন্তানদের ওপর আর বল প্রয়োগ করতে হবে না।’ দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বায়নের এ উত্তাল সময়ে শুধু প্রবাস নয়, স্বদেশের সামাজিক বাস্তবতায়ও এ চর্চাটি নিশ্চিত করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুক্তরাজ্য শাখার চেয়ার কবি শামীম আজাদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন লাফবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া অ্যান্ড মেমোরি স্টাডিজের অধ্যাপক এমিলি কেইটলি, কিংস কলেজের অধ্যাপক জন উইলসন, সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহাদুজ্জামান, ইউএনডিপির পরিচালক সেলিম জাহান, কবি স্টিফেন ওয়াটস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নাট্য গবেষক সুদীপ চক্রবর্তী।