Thank you for trying Sticky AMP!!

আদিবাসীদের জমি দখল করতেই হামলা করা হয়

মাটিরাঙ্গার তাইংদংয়ের পাহাড়ি অধ্যুষিত আক্রান্ত গ্রামগুলো পরিদর্শন শেষে নাগরিকদের একটি কমিটি বলেছে, সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি করে ওই হামলা করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল পাহাড়িদের ভূমি দখল।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘মাটিরাঙ্গায় আক্রান্ত আদিবাসীদের সহায়তায় নাগরিক কমিটি’ এ অভিযোগ করে।
১৬টি নাগরিক, মানবাধিকার, দেশি-বিদেশি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটির একটি দল গত ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট মাটিরাঙ্গা পরিদর্শন করে। একজন বাঙালি অপহরণের গুজব তৈরি করে গত ৩ আগস্ট খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার ১৩টি পাহাড়ি গ্রামে হামলা চালানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি তারিক আলী।
পাঁচ দফা দাবি করা হয়। এসবের মধ্যে আছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধমন্দির পুনর্নির্মাণ, বাঙালি ও আদিবাসীদের সমন্বয়ে পাহাড়ে মিশ্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন। এর পাশাপাশি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ আগামী সংসদে পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী সংশোধন করারও প্রস্তাব করা হয়। লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আদিবাসীরা গুলশান-উত্তরায় জমি চায় না। রাষ্ট্রের কাছে শুধু নিরাপত্তা চায়, শান্তিতে বাস করতে চায়।