Thank you for trying Sticky AMP!!

আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে তলব

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। তাঁরা তিন ভাই। আজ মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসাইন মৃধা স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা চিঠিতে তাঁদের তলব করা হয়।

দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দিলদার আহমেদ সেলিমকে ২৭ নভেম্বর, গুলজার আহমেদকে ২৮ নভেম্বর এবং আজাদ আহমেদকে ১ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে তাঁদের সব আয়কর নথি, দেনা ও ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত নথিপত্র ও দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর তথ্যমতে সম্পদের আয়ের উৎস সংক্রান্ত কাগজ-পত্রসহ হাজির হতে বলা হয়েছে।

এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তলব করা হলো তিন ভাইকে। এর আগে ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর তাঁদের তলব নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় তাঁরা জেল হাজতে থাকায় দুদকে হাজির হতে পারেননি। বর্তমানে তাঁরা জামিনে।

আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। শুরুতে উপপরিচালক এস এম আখতার হামিদ ভূঞা অভিযোগটি অনুসন্ধান শুরু করেন। অনুসন্ধানে তাঁদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায় বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর তাঁদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, আপন জুয়েলার্সে স্বর্ণ কেলেঙ্কারির পর প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর দুদকে চিঠি দিলে অনুসন্ধান শুরু হয়।

২০১৭ সালের ৮ জুন ও ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ১০টি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা। বনানীর একটি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শোরুম থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের অলংকার উদ্ধার করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয় শুল্ক গোয়েন্দা।