আবরার হত্যায় ৩ জনের ১০ দিন রিমান্ড চাওয়া হবে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে গতকাল গ্রেপ্তার তিনজনকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয় থেকে এখন ঢাকার সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওই তিনজন হলেন শামসুল আরেফিন ওরফে রাফাত, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন। ডিবি দক্ষিণের (লালবাগ জোন) অতিরিক্ত উপকমিশনার খন্দকার আরাফাত লেনিন জানান, তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হবে। তিনি বলেন, রাফাতকে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আসামি করা হয়েছে। অন্য দুজনের মতো তাঁরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
পুলিশ মনে করছে, ২৪-২৫ জন আবরার হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জনকে শনাক্ত করে মামলার আসামি করা হয়েছে। আবরার হত্যা মামলায় গতকাল এজাহারভুক্ত আরও তিন আসামিকে ঢাকা ও গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ডিবি রাজধানীর জিগাতলা এলাকা থেকে রাফাত, ডেমরা থেকে মনিরুজ্জামান ও গাজীপুর থেকে আকাশ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। শামসুল আরেফিন বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের, আকাশ ও মনিরুজ্জামান ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। এ নিয়ে এ ঘটনায় ১৩ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হলো।
আলোচিত এ মামলা তদন্তের ভার পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবি। গ্রেপ্তার ১০ শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল মঙ্গলবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি। যাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন মেহেদি হাসান ওরফে রাসেল, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম, উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারেফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ও মুজাহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন:
পুলিশ জেনেও তৎপর হয়নি
আরও পড়ুন
-
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের স্থানে পৌঁছেছে ইরানি রেড ক্রিসেন্ট
-
ইরানের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি
-
বাংলাদেশ দলে খেলতে হলে জানতে হবে ‘টাইগার্স কোড’
-
ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে তাপের উৎস খুঁজে পেয়েছে তুরস্কের ড্রোন
-
ভারতে রাহুল, রাজনাথ সিং, ওমর আবদুল্লাহর ভাগ্য নির্ধারণ আজ