Thank you for trying Sticky AMP!!

আম বাজারজাতের তারিখ নির্ধারণ

আম উৎপাদনকারী অঞ্চলের জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কার্যালয় থেকে। এই ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্ন জাতের আম বাজারজাত করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তারিখ অনুযায়ী ২৫ মের আগে গোপালভোগসহ কোনো প্রকার গুটি আম বাজারজাত করা যাবে না। বিষমুক্ত আম সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহনের লক্ষ্যে দেশের আজ শনিবার বিকেলে এই ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম যেন বাজারজাত করা না হয়, সে জন্য বিভিন্ন জাতের আম বাজারজাত করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গোপালভোগসহ সব ধরনের গুটি আম ২৫ মের আগে বাজারে নামানো যাবে না। ক্ষীরশাপাতি বা হিমসাগর ও লক্ষ্মণভোগ আম ১ জুন, ল্যাংড়া ও বোম্বাই ১০ জুন, ফজলি ২৫ জুন, আম্রপালি ১ জুলাই এবং আশ্বিনা ১৫ জুলাই থেকে বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজার তদারকির মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আম সংরক্ষণ ও পাকানোতে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আমচাষি, ব্যবসায়ী ও আম পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। অংশ নেন আম উৎপাদনকারী বিভাগ রাজশাহী ও রংপুরের বিভাগীয় কমিশনাররাও।
সভায় কর্মকর্তারা আইনি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। আর আমচাষিরা ব্যাগিং করার জন্য ব্যাগের দাম কমানোর দাবি জানান। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানে কারবাইড, ফরমালিন ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক আমদানির ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
জেলা প্রশাসকেরা বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ আম পেড়ে রাসায়নিক মেশানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চাষিরা বলেন, গত দুই বছর আমের বাজার নষ্ট হয়ে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার তাঁদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। ফলে আমের বাজারও এবার ভালো রয়েছে।
মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বিষয়গুলো সমন্বয় করেন। তাঁর সঙ্গে আরও ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল আল মামুন।
আম উৎপাদনকারী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, দিনাজপুর, রংপুর, মেহেরপুর জেলার প্রতিনিধিরা কনফারেন্সে কথা বলেন। তালিকায় সাতক্ষীরা ও খাগড়াছড়ির নাম থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাঁরা এতে অংশ নেননি।