Thank you for trying Sticky AMP!!

আয়শার কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই

আয়শা সিদ্দিকা। ফাইল ছবি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকার কারামুক্তিতে আইনগত বাধা কেটেছে।

আয়শাকে জামিন দিয়ে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তাঁর জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের এই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ সোমবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। চেম্বার বিচারপতির এই আদেশের ফলে আয়শাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রয়েছে বলে জানান তাঁর (আয়শা) আইনজীবী জেড আই খান পান্না।

জেড আই খান পান্না প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন আয়শার কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। আশা করছি, আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে এক-দুই দিনের মধ্যে আয়শা কারামুক্তি পাবেন।’

এই মামলায় দুই ধাপে বরগুনার আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হন আয়শা। পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। গত ৮ আগস্ট হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ জামিন প্রশ্নে রুল দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে আয়শার আইনজীবীরা আবেদনটি ফেরত নেন।

এরপর ১৮ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আয়শার জামিন আবেদনটি দাখিল করেন তাঁর আইনজীবীরা। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২০ আগস্ট হাইকোর্টের এই বেঞ্চ আয়শার জামিন প্রশ্নে রুল দেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৯ আগস্ট আয়শার জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, আয়শা তাঁর বাবার জিম্মায় থাকবেন। গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।

হাইকোর্টের এই রায় ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা আজ চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সারওয়ার ও মো. সারওয়ার হোসেন।

আয়শার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী তাঁকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছেন। ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ হন তাঁরা। ছয় দিন পর গত ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। পরে রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।