Thank you for trying Sticky AMP!!

আ.লীগে চলছে দৌড়ঝাঁপ, মামলার চাপে বিএনপি

মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের জেলা কমিটিসহ কেন্দ্রীয় শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এদিকে দলের তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিএনপি।
আগ্রহী প্রার্থীদের ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে বলে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের চার নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। তাঁর হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল হুদা, সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার এবং বর্তমান মেয়র রমজান আলী। এক মাস ধরে তাঁরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রয়েছে। নেতারা এখন মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন সময়োপযোগী এবং ইতিবাচক। এর ফলে নির্বাচিত মেয়রের ইতিবাচক ও নেতিবাচক কর্মকাণ্ড কেবল নাগরিকেরই ওপরই নয়, দলের ওপরও প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন, মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন এবারই প্রথম। কাজেই যথেষ্ট যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দলের যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী ওই চার প্রার্থী বলেন, দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষেই তাঁরা কাজ করবেন।
এদিকে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী জেলা বিএনপির সহসভাপতি আজাদ হোসেন খান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রায়হান উদ্দিন এবং গত নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমেদ তফসিল ঘোষণার আগে প্রচার-প্রচারণা চালান। তবে গত সোমবার রাতে এই তিনজনের মধ্যে আজাদ হোসেন ও কাজী রায়হানের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ মামলা হয়েছে। এই মামলায় আজাদ হোসেন গ্রেপ্তার, কাজী রায়হান পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ কারণে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিএনপি। তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর তিন-চার দিন ধরে প্রচার-প্রচারণায় তাঁদের দেখা যায়নি।
জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশে যানবাহন ভাঙচুর করার অভিযোগে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩৫ নেতা-কর্মীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করে ওই মামলাটি করেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রহমত আলী।
এ বিষয়ে কাজী রায়হান উদ্দিন বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করা হয়েছে। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি করা হয়েছে, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে রাখতেই মামলাটি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার-আতঙ্ক থাকলেও তিনি গোপনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন।
তবে সদর থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলাটি করা হয়েছে।