Thank you for trying Sticky AMP!!

ইঁদুর মারার বিষটোপে গেল দুই প্রাণ

নীলফামারীতে ইঁদুর মারার বিষটোপ খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশশী কাচারীপাড়া গ্রামে নিজ শোয়ার ঘরে ইঁদুর মারার বিষটোপ খেয়ে অসুস্থ হন তাঁরা। পরে হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়।

নিহত ওই দম্পতির নাম আজিনুর রহমান (১৮) ও আদুরী বেগম (১৭)। পারিবারিক কলহের জেরে তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।

পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হবিবুর রহমান সরকার বলেন, শনিবার রাতে আজিনুরের মা আজিনুরকে বকা দেন। এ ঘটনায় অভিমান করে আজ রোববার সকালে ইঁদুর মারার বিষটোপ খেয়ে অসুস্থ হন আদুরী বেগম। আজিনুরও একই বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আদুরীকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ও আজিনুরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনের মৃত্যু হয়।

আজিনুরের প্রতিবেশী রাজু ইসলাম বলেন, প্রায় ১১ মাস আগে একই ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে আদুরী বেগমের সঙ্গে উত্তরাশশী কাচারী পাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আজিনুর রহমানের বিয়ে হয়। আজিনুর রহমান ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ঢাকায় কাজে যাওয়ার সময় তিনি তাঁর স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে যান।

আদুরীর চাচা আবদুল মালেক বলেন, প্রায় ২০ দিন আগে ঢাকা থেকে এসে আজিনুর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী আদুরীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। দুদিন আগে দুজনে মিলে জেলা সদরের রামগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে আদুরীর নানার বাড়িতে বেড়াতে যান। শনিবার সেখান থেকে বিকেলে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। আজ সকালে ইঁদুর মারার বড়ি খেয়ে তাঁদের মৃত্যুর খবর পান তিনি।

নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মমতা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ইঁদুর মারা বিষটোপ খাওয়ার পর দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আদুরী মারা যান এবং পরে আজিনুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাবুল আকতার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য আদুরীর লাশ নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। আজিনুরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়েছে।