Thank you for trying Sticky AMP!!

ইপিজেড তৈরিতে রোহিঙ্গাদের তাড়ানো হচ্ছে: তোফায়েল

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । ছবি: সাজিদ হোসেন

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকাসহ (ইপিজেড) বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান-শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করা এবং সেখানকার মূল্যবান সম্পদের জন্যই রাজ্যটি থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে কূটনৈতিক উপায়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে কোরিয়ান শোকেস প্রদর্শনী উদ্বোধনের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্স (কেবিসিসিআই) আয়োজিত প্রদর্শনীটি আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত চলবে। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রনিক, মোটরগাড়ি, তৈরি পোশাক উৎপাদন সরঞ্জামসহ পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন করা হচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এখনো মিয়ানমার থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। আগে আরও ৫ লাখ রোহিঙ্গা ছিল। সব মিলিয়ে সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ লাখ। মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন থেকে আরও রোহিঙ্গা তাড়িয়ে সেখানে ইপিজেড তৈরি করবে। তবে কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যসামগ্রী রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশ বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি সুবিধা দিয়েছে। তাই শুধু পশ্চিমা বিশ্বে নয়, এ দেশের ব্যবসায়ীদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসহ অন্যান্য দেশেও পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৩৮ কোটি মার্কিন ডলার পণ্য রপ্তানি করা হয়। বিপরীতে ১ দশমিক ২৬ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়। এটি কমে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত আন সিউং ডু, কেবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামালসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।