Thank you for trying Sticky AMP!!

ইভিএম নিয়ে সন্দেহ দূর করতে হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে মানুষের মনের সন্দেহ দূর করতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি নিতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

ইভিএম কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সে সম্পর্কিত নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ শনিবার সিইসি এই কথা বলেন। রাজধানীর নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই কর্মশালা শুরু হয়েছে।

সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকবে। কারণ, একজন ব্যক্তি ভোট কোথায় দিলেন, কীভাবে দিলেন, সেটা জানার আগ্রহ তাঁর থাকবে না, সেটা হতেই পারে না। ইভিএম কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটা জানা না থাকলে তো মানুষের মনে প্রশ্ন থেকেই যাবে। আমরা ইভিএম নিয়ে গেলাম। কিন্তু ভোটার সেটা ব্যবহার করলেন না। এর দোষ কিন্তু ভোটারের ওপর চাপানো যাবে না। ইভিএমের কারিগরি দিক সম্পর্কে ধারণা না থাকলে যন্ত্রটি সম্পর্কে তাঁদের প্রশ্ন থেকেই যাবে। সুতরাং ইভিএম কী, এটার উপকারিতা কী, সে বিষয়ে দেশব্যাপী প্রচার চালাতে হবে।’

নিজেদের সক্ষমতার অতিরিক্ত ইভিএম ব্যবহার করা হবে না জানিয়ে নুরুল হুদা বলেন, ‘ইভিএম আমরা যতটুকু পারব, ততটুকু ব্যবহার করব। অতিরিক্ত চাপিয়ে দেওয়া হবে না।’

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারে আপনারা যদি সফল হন, আপনারা যদি ইভিএম ব্যবহারের যোগ্যতা অর্জন করেন এবং ইভিএম যদি আইনগত ভিত্তি পায়, তবেই ইভিএম ব্যবহার করা হবে।’

প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ইভিএম কেনা ও সংরক্ষণের প্রকল্প চলতি মাসে একনেকের অনুমোদন পেয়েছে। তার আগে ইসি জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টিকে আইনি ভিত্তি দিতে নির্বাচনী আইন (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনের প্রস্তাব করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে হলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিরোধিতা করছে।

নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান ও পরিচালক (প্রশিক্ষণ) বেলায়েত হোসেন।