Thank you for trying Sticky AMP!!

ইলিশের স্যুপ ও নুডলস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক এ কে এম নওশাদ আলম ইলিশ থেকে স্যুপ ও নুডলস তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। ইলিশ সংরক্ষণের এই প্রযুক্তি বিশ্বে প্রথম বলে দাবি করেছেন তিনি।

ইলিশ মাছকে প্রক্রিয়াজাত করে এর মূল্যমান বৃদ্ধি করতে প্রায় দুই বছর ধরে গবেষণা করেছেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মৎস্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক নওশাদ আলম। গত মঙ্গলবার দুপুরে বিভাগের গবেষণাগারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইলিশ অধিক আমিষ ও অধিক চর্বির মাছ। কিন্তু ইলিশের চর্বি মোটেও ক্ষতিকর নয়। চর্বিতে বিদ্যমান ওমেগা-৩ নামক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়, শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।

নওশাদ আলম জানালেন, এক হাজার টাকা দামের একটি ইলিশ থেকে ছোট আকৃতির প্রায় ২০০ কিউব তৈরি করা সম্ভব। প্রতিটি কিউবের বাজারমূল্য ২০ টাকা। একটি কিউব দিয়ে ইলিশের হুবহু স্বাদের এক-দুজনের জন্য স্যুপ তৈরি করা সম্ভব। ইলিশের স্বাদ অপরিবর্তিত রেখে কিউবগুলোকে রেফ্রিজারেটরে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। তা ছাড়া ইলিশ দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় নুডলস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বাজারে সচরাচর যে নুডলস পাওয়া যায়, তার থেকে হয়তো কিছুটা দাম বেশি পড়বে। তবে খুবই সাশ্রয়ী দামে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশের নুডলসও বাজারজাত করা সম্ভব হবে।

নওশাদ আলম বলেন, ইলিশের ফ্যাটি অ্যাসিড বাতাসে সহজেই জারিত হয়ে দুর্গন্ধযুক্ত পার-অক্সাইড তৈরি করে। এ কারণে ইলিশকে সংরক্ষণ করা যায় না বা ইলিশের শুঁটকিতৈরি করা সম্ভব হয় না। সারা বছর ইলিশকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তিনি কিউব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।