Thank you for trying Sticky AMP!!

শাজাহান খান (বাঁয়ে) ও ইলিয়াস কাঞ্চন

ইলিয়াস কাঞ্চন আছেন, তাই যাননি পরিবহন নেতারা

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেননি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন।
অনুষ্ঠান চলাকালে বনানীতে বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে আলোচনায় অংশ নেন।

বিআরটিএ কার্যালয়ের সেই অনুষ্ঠানে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে বিআরটিএ সূত্র জানায়, মালিক-শ্রমিক নেতারা আগেই জানিয়ে দেন বেসরকারি সংগঠন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন থাকলে তারা অংশ নেবেন না। ইলিয়াস কাঞ্চন এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস করার ক্ষত্রে ইলিয়াস কাঞ্চন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাঁর স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন এই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। তিনি কঠোর শাস্তির বিধান সংবলিত সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের আন্দোলনও করেন।

সড়ক পরিবহন খাতের যে কোনো কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী উপস্থিত থাকেন। পরিবহন মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙা এবং মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাও অংশ নেন। কিন্তু আজ তাঁদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।


এ বিষয়ে শাজাহান খান ও এনায়েত উল্যার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রথম আলোকে বলেন, শাজাহান খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি (কাঞ্চন) নতুন সড়ক আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির শাস্তি সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা কম হয়েছে বলে বক্তব্য দিয়েছেন। ইলিয়াস কাঞ্চন শাস্তি আরও বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নেন। তাঁর এই অবস্থান মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী। এ জন্য ইলিয়াস কাঞ্চন উপস্থিত থাকলে মালিক-শ্রমিকেরা থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়। আজ সেটাই ঘটেছে।