Thank you for trying Sticky AMP!!

ইলেনকে ঠেকাতে মাঠে জেবা

ইসরাত জাহান ইলেন ও জেবা আমীনা খান

ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি-নলছিটি) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছেন ১০ জন। কিন্তু দলীয় নেতা-কর্মীদের আলোচনায় আছেন দুই নারী মনোনয়নপ্রত্যাশী।

বিএনপির নেতা–কর্মীরা বলেন, মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা আমীনা খান ও সাবেক সাংসদ ইসরাত জাহান ইলেন ভুট্টো। ইলেনকে ঠেকাতে চায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ। এ ভরসায় শেষ মুহূর্তে মাঠে নেমেছেন জেবা।

এ আসনে আরও মনোনয়ন চান জেলা বিএনপির সহসভাপতি মিয়া আহমেদ কিবরিয়া, শিল্পপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি রফিক হাওলাদার ও সৈয়দ রফিক, নলছিটি দপদপিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া জেলে থেকে স্ত্রীর মাধ্যমে ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মাহাবুবুল হক।

দলীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, ইলেন ভুট্টো সংস্কারবাদী হওয়ায় দল থেকে কিছুদিন বিচ্ছিন্ন ছিলেন। সম্প্রতি দলে ফিরিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। ইলেনকে হঠাৎ করে দলে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি স্থানীয় নেতা–কর্মীদের অনেকে ভালোভাবে নেননি। তাই তাঁরা জেবার হয়ে মাঠে নেমেছেন।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, ২০১১ সালের নির্বাচনের পর এলাকায় আসেননি ইলেন ভুট্টো। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে ইলেন ভুট্টো বিএনপির টিকিটে আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমুকে পরাজিত করে সংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে জেতেন আমির হোসেন আমু।

ইলেন ভুট্টো বলেন, আওয়ামী লীগ বাধা দেওয়ায় তিনি এলাকায় যেতে পারেননি। আশা করেন, দল তাঁকে এবারও মনোনয়ন দেবে।

অন্যদিকে জেবা আমীনা খান বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহসভাপতি ও ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য। সাবেক মন্ত্রী আক্তার উদ্দিন আহমদ তাঁর বাবা। জেবা বলেন, তিনি লন্ডনে পড়ালেখা করেছেন। মনোনয়ন পেলে আধুনিক ঝালকাঠি গড়ে তুলবেন। তবে দলের সিদ্ধান্ত শেষ কথা।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, এক–এগারোর পর সাবেক সাংসদ ইলেনসহ অধিকাংশ মনোনয়নপ্রত্যাশী এলাকায় নেতা–কর্মীদের ফেলে চলে যান। তারপর থেকে তিনি মাঠে আছেন। তাই তিনি মনোনয়ন চান। ইলেনের মনোনয়ন চাওয়ার কোনো অধিকার নেই। তবে দল জেবা বা অন্য যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তাঁর সঙ্গেই কাজ করবেন।