Thank you for trying Sticky AMP!!

উচ্চ আদালতে সব আসামি খালাস

হাইকোর্ট ভবন

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ টেলিকমের অফিস সহকারী গোলাম শামসুল হায়দার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত সব আসামি উচ্চ আদালতে খালাস পেয়েছেন। মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে আট আসামির ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাব‍জ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রায়ে সব আসামিকে খালাস দেন। ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আয়েশা ফ্লোরা। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক খান, এস এম শাহজাহান ও সাইফুর রহমান। দুই আসমির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন অমূল্য কুমার সরকার।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লতিফ মারা গেছেন। হাইকোর্ট সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে।
আইনজীবী সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ও আইনের বিধান অনুসারে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়নি ও অন্যান্য সাক্ষ্যে অভিযোগ সমর্থিত হয়নি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীও নেই। এসব বিবেচনায় হাইকোর্ট আটজনকেই খালাস দিয়েছেন।

আইনজীবীদের তথ্যমতে, ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এজিবি কলোনির সামনের রাস্তায় শামসুল হায়দারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। রায়ে বাবুল, আবদুল লতিফ, হাফিজুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ওয়াসিম ও কাজল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং রাজন মিয়া ও শামসুল আলমকে যাব‍জ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের পর ডেথ রেফারেন্সের জন্য নথিপত্র হাইকোর্টে আসে। আসামিরা আপিল করেন। এসবের ওপর একসঙ্গে শুনানি নিয়ে রায় দেওয়া হয়।