Thank you for trying Sticky AMP!!

এই অপেক্ষার যেন শেষ নেই

পাবনায় এমপিওভুক্তির দাবিতে নন–এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করে​ন। ছবিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে গতকাল বেলা ১১টায় তোলা l প্রথম আলো

পাবনার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী।
অবিলম্বে এমপিওভুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার সকালে তাঁরা পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে স্মারকলিপি দিয়েছেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন পাবনা জেলা শাখা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এসে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন। পরে প্রায় এক ঘণ্টার এক মানববন্ধন করেন তাঁরা। এ সময় বক্তব্য দেন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠনের পাবনা জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক পাঠান, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, শিক্ষক আরজাহান আলী, নান্নু মিয়া, মো. ওলিউল্লাহ, আকমল হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে সমবেত শিক্ষক-কর্মচারীরা পাবনার জেলা প্রশাসকের কাছে তাঁদের দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালোর পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাকসুদা বেগম স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাহিদা অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ১০ থেকে ১৫ বছরে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ ১৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই পাঠদানের অনুমতি রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন প্রায় ৩ হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী। শিক্ষা গ্রহণ করছে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষার্থী। এরপরও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না।
সংগঠনের নেতা এনামুল হক পাঠান বলেন, দীর্ঘদিন এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বহু শিক্ষক-কর্মচারীর সরকারি চাকরির বয়স পার হয়ে গেছে। ফলে ইচ্ছা করলেই অন্যত্র যেতেও পরছেন না। আবার এসব প্রতিষ্ঠান আঁকড়ে থেকে অর্থাভাবে, অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। বহু কর্মচারী দিনে স্কুল-কলেজ করে রাতে রিকশাভ্যান চালিয়ে দিনাতিপাত করছেন। শিক্ষকদের অবস্থাও খুব একটা আলাদা নয়।
শিক্ষক আকমল হোসেন বলেন, ‘দিনের পর দিন আমরা সরকারের দিকে তাকায়ে আছি। কত প্রতিষ্ঠান এমপিও হচ্ছে, কিন্তু আমাদের দিকে কারও নজর নেই। ভাবলেও কষ্টে বুক ফেটে যায়।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাকসুদা বেগম শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবিসংবলিত স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, ‘আমরা তাঁদের দাবির বিষয়টি সরকারি ঊর্ধ্বতন মহল পর্যন্ত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’