Thank you for trying Sticky AMP!!

একই লাইনে দুই ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা

একটি ট্রেন থেমে ছিল। একই লাইন দিয়ে এগিয়ে আসছিল আরেকটি ট্রেন। চলন্ত ট্রেনের চালক তা বুঝতে পেরে এটি থামানোর চেষ্টা করেন। এতে ট্রেনটির একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। রক্ষা পেয়েছেন দুই ট্রেনের পাঁচ শতাধিক যাত্রী।

আজ সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী স্টেশন এলাকায় ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, আজ বেলা তিনটা ২০ মিনিটে ময়মসিংহ থেকে ঢাকাগামী ঈশা খাঁ এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনের এক নম্বর লাইনে যাত্রাবিরতি দিয়ে থেমে ছিল। কয়েক মিনিট পর একই লাইনে ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল ট্রেন ঢুকে পড়ে। লোকাল ট্রেনের চালক তা বুঝতে পেরে দ্রুত ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন। এতে ট্রেনটির পেছনের বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ সময় দ্রুত নামতে গিয়ে কয়েকজন যাত্রী সামান্য আহত হন।

এ ব্যাপারে সহকারী স্টেশন মাস্টার মতিউর রহমান বলেন, আমি তখন স্টেশনে ছিলাম না। পরে এসে লোকাল ট্রেনের চালকের ভুল করার বিষয়টি জানতে পারি। লোকাল ট্রেনটির জন্য এক নম্বর লাইনে প্রবেশের সংকেত ছিল না। তা বুঝতে না পেরে চালক ট্রেন চালিয়ে একই লাইনে প্রবেশ করে।

মতিউর বলেন, আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এখনো এসে পৌঁছায়নি। ট্রেনটি আসার ওপর রেল চলাচল স্বাভাবিক হওয়া নির্ভর করছে।

লোকাল ট্রেনের সহকারী চালক মোস্তফা মিয়া দাবি করেন, ঈশা খাঁ ট্রেনটি এক নম্বর লাইনে দাঁড়ানো ছিল। লোকাল ট্রেনটির জন্য একই লাইনে প্রবেশের সংকেত ছিল। সংকেতের ভুলের কারণে এ সমস্যা হয়েছে।

রেল চলাচল বন্ধ থাকায় ওই ট্রেন দুটি ছাড়াও ঢাকাগামী আন্তনগর এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি লোকাল ও মেইল ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী বিকল্প পথে গন্তব্যে যাচ্ছেন।