Thank you for trying Sticky AMP!!

একটি বেঞ্চের 'অস্বাভাবিক আদেশে' আপিল বিভাগের ক্ষোভ

ফাইল ছবি

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যর আপিল বিভাগের বেঞ্চে আজ বৃহস্পতিবার সকালে একটি সিভিল মামলার শুনানি চলছিল। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চর বিরুদ্ধে ‌‘অস্বাভাবিক আদেশ’ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

আদালত মামলাটি পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন। আপিল বিভাগ ‘অস্বাভাবিক আদেশে’ সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। আদালত বিবাদীকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেছেন।

হাইকোর্টের ওই বেঞ্চের একটি রায় নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে সুপ্রিম কোর্ট ‘বেআইনি’ বলেও উল্লেখ করেছেন।

ন্যাশনাল ব‌্যাংক লিমিটেড ও অন্যান্য বনাম এম আর ট্রেডিং কোম্পানি ও অন্যান্য মামলায় আইনজীবী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদসহ আরও কয়েকজন।

এই মামলায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে অভিমত দেন।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী হাসান আরিফ বলেন, ‌‘হাইকোর্টের বেঞ্চ এমন একটি অর্ডার হয়েছিল, যে বিষয়ে ঠিক সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে নয়, রাষ্ট্রপতির কাছে বিষয়টি পাঠানো যেতে পারে বলে অ্যাটর্নি জেনারেল নিবেদন করেছেন। আমি, ও আরও দুজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ( এ জে মোহাম্মদ আলী ও ফিদা এম কামাল) এবং বারের প্রেসিডেন্ট-আমরা সকলেই সমস্বরে তাতে সমর্থন জানিয়েছি।

বিষয়টিতে আদালত (আপিল বিভাগ) সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। এই ধরনের অস্বাভাবিক (প্রিপস্টারাস) আদেশে আদালতের মর্যাদা অবনমিত হয়। আমরা আদালতের কাছে আবেদন রেখেছি, এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বা আদালত অন্য যেভাবে উপযুক্ত মনে করেন, সেভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাইকোর্টর আলোচ্য রায়টি একটি ডিভিশন বেঞ্চের ( দুজন বিচারপতি নিয়ে গঠিত) রায়, তাই এর দায়-দায়িত্বও যৌথ হবে।