Thank you for trying Sticky AMP!!

একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক রশীদ হায়দার আর নেই

লেখক, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক রশীদ হায়দার

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত লেখক, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক রশীদ হায়দার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডে মেয়ে শাওন্তী হায়দারের বাসায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন রশীদ হায়দার। জামাতা ইশতিয়াক আজাদ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

রশীদ হায়দারের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।

রশীদ হায়দারের ভাই কবি জাহিদ হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, রশীদ হায়দার ৯ মাস ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন।

রশীদ হায়দার দুই মেয়ে হেমন্তী হায়দার ও শাওন্তী হায়দারসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রশীদ হায়দারের স্ত্রী আনিসা আখতার ২০১৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

ইশতিয়াক আজাদ প্রথম আলোকে জানান, আজ বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে রশীদ হায়দারের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

রশীদ হায়দারের ভাই কবি জাহিদ হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, রশীদ হায়দারকে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর স্ত্রী আনিসা আক্তারের কবরে দাফন করা হবে।

বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, রশীদ হায়দার গল্প-উপন্যাস-নাটক-অনুবাদ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা ও সম্পাদনা মিলিয়ে ৭০টির বেশি বই রচনা করেছেন। তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন।

১৯৪১ সালের ১৫ জুলাই পাবনার দোহাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রশীদ হায়দার। পরিচিতি রশীদ হায়দার নামে হলেও তাঁর পুরো নাম শেখ ফয়সাল আবদুর রশীদ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন হায়দার। ডাকনাম দুলাল।

রশীদ হায়দার গোপালগঞ্জ ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বড় ভাই জিয়া হায়দারের উৎসাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় রশীদ হায়দার কাজ শুরু করেন চিত্রালী পত্রিকায়।

১৯৬৪ সালে পাকিস্তান রাইটার্স গিল্ডের মুখপত্র ‘পরিক্রম’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন রশীদ হায়দার। ১৯৭২ সালে তিনি বাংলা একাডেমিতে চাকরি শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে বাংলা একাডেমির পরিচালকের পদ থেকে অবসর নেন। পরে তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক হন।