Thank you for trying Sticky AMP!!

এক বছর ধরে নজরদারিতে ছিলেন পাকিস্তানি কূটনীতিক

ফারিনা আরশাদ

পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে ঢাকা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রায় এক বছর আগে থেকেই তিনি গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ হাতে পাওয়ার পর সরকার ফারিনাকে প্রত্যাহার করতে বলে পাকিস্তানকে।
এদিকে ফারিনাকে বাংলাদেশ সরকার ‘অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি’ (পারসোনা নন গ্রাটা বা পিএনজি) হিসেবে ঘোষণা করে কি না, এ নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল পাকিস্তান। পিএনজি ঘোষণা না করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার ব্যাপারে পাকিস্তান বেশ আগ্রহী ছিল।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) ফারিনা আরশাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠার পর তাঁর ওপর নজরদারি শুরু হয়। ফারিনার গতিবিধি নিবিড়ভাবে অনুসরণের পর গোয়েন্দাদের হাতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ মেলে। এরপরই সরকার ফারিনাকে প্রত্যাহার করে নিতে বলে পাকিস্তানকে।
গত বুধবার ফারিনা ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগের দিন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফারিনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, সেটি তাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। তবে ফারিনাকে পিএনজি না করে অন্যভাবে বিষয়টি সুরাহা করাটা সমীচীন হবে বলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়।
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে ফারিনা আরশাদকে গত বুধবার বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য: ফারিনা আরশাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, ফারিনাকে ক্রমাগতভাবে হয়রানি করা হচ্ছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনার প্রতিবাদ জানানো হয়। এরপর তাঁকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত 

নেওয়া হয়।