Thank you for trying Sticky AMP!!

এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ চট্টগ্রাম বেতারের অনুষ্ঠান সম্প্রচার

এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। প্রবল বর্ষণে ক্ষতির আশঙ্কায় বেতারের কালুরঘাট সম্প্রচারকেন্দ্রের (ট্রান্সমিটিং সেন্টার) যন্ত্রপাতি সরিয়ে রাখার কারণে এ অচলাবস্থার সৃৃষ্টি হয়েছে। এতে শ্রোতারা বেতারের (মধ্যম তরঙ্গ ৩৪৩ দশমিক ৮৭৩ কিলোহার্টজ) কোনো অনুষ্ঠান শুনতে পাচ্ছেন না৷
আপাতত ক্ষুদ্র তরঙ্গে (এফএম ৮৮ দশমিক আট মেগাহার্টজ) সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে৷ এসব অনুষ্ঠান শুধু শ্রোতারা মুঠোফোনে শুনতে পারছেন। বেতারের আগ্রাবাদ কেন্দ্রের আঞ্চলিক প্রকৌশলী কাজী মো. লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান এফএম বেতার তরঙ্গে প্রচার করছি।’
বেতারের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০ জুন থেকে অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। ১৯ জুন অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কালুরঘাট সম্প্রচারকেন্দ্র চত্বর পানিতে ডুবে যায়। তখন বাংলাদেশ বেতারের প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পরামর্শে মূল্যবান যন্ত্রপাতি খুলে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়। কারণ, ২০০৭ সালের ১১ জুন এবং ২০১২ সালের ২৬ জুন দুবার অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে যন্ত্রপাতি ডুবে যায়। এ সময়ে যথাক্রমে ১১ ও ১৩ দিন অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ থাকে৷
বাংলাদেশ বেতারের প্রধান প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, ‘মূল্যবান যন্ত্রপাতি বাঁচাতে আমরা এগুলো সরিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছি। শুধু গত বছর তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু এর আগের বছরগুলোতে বৃষ্টির পানি ঢুকে যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি সরে যাওয়ার জন্য যতটুকু সম্ভব কালুরঘাট সম্প্রচারকেন্দ্রের ভেতরের নালা-নর্দমাগুলো পরিষ্কার এবং মাটি ভরাটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এর পরেও এ ক্ষেত্রে বিকল্প উপায় নির্ধারণের জন্য আমরা বেতারের মহাপরিচালকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি।’
কালুরঘাট সম্প্রচারকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রকৌশলী মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ‘যন্ত্রপাতি পুনঃস্থাপনের কাজ চলছে। আশা করছি, শুক্রবার বিকেলের মধ্যে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু করা যাবে৷’