‘এটা আমার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো’
* লিবিয়ায় গুলিতে আহত ৯ জনসহ ১৬৪ জন দেশে ফিরেছেন
* লিবিয়াতে এখনো দুজনের চিকিৎসা চলছে
* দেশে ফেরাদের মধ্যে ৩৯ জন অসুস্থ
লিবিয়ার মিজদাহ শহরে গত মে মাসে পাচারকারীদের গুলিতে নিহত হন ২৬ জন বাংলাদেশি। ওই সময় গুরুতর আহত হন ১১ জন। এর মধ্যে দুজনের এখনো চিকিৎসা চলছে লিবিয়াতেই। আর বাকি ৯ জনসহ মোট ১৬৪ জন দেশে ফিরেছেন। মধ্যে ৩৯ জন অসুস্থ। তাঁদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় সঙ্গনিরোধে রাখা হয়েছে।
মিজদাহর ওই নৃশংস ঘটনায় গুলিতে আহত মোহাম্মদ সৈয়দ খান বলেন, ‘এটা আমার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। আমার শরীরে গুলি লাগে এবং চার মাস পর আমি দেশে ফেরার মতো সুস্থ হই। এখনো অনেকেই পুরোপুরি সুস্থ হননি, আমরা এখনো আতঙ্কিত।’
লিবিয়ায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা-সহায়তা দেওয়া এবং ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দেশে ফিরিয়ে আনায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সৈয়দ খান। তাঁর মতো লিবিয়া ফেরত সবাইকে একই সহায়তা দিচ্ছে আইওএম। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। চিকিৎসা ও মনোসামাজিক সেবার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা পাবেন তাঁরা। আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে নিজের পরিবারের ভরণপোষণ নিশ্চিত করতে পারবেন তাঁরা।
আইওএম জানায়, গত বুধবার দেশে পৌঁছান ১৬৪ বাংলাদেশি। তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মেডিকেল সহায়তা দানকারীরাও। সরকার-নির্ধারিত সঙ্গনিরোধ শেষে তাদের সহায়তা করবে আইওএম।
আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, অভিবাসী কর্মীদের বিপদ বাড়িয়ে দিয়েছে করোনা। অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয়, খাদ্য, কনস্যুলার সেবা এবং সর্বোচ্চ বিপদাপন্নদের জন্য দেশে ফেরত আনার ফ্লাইট নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে আইওএম।
ভিয়েতনাম প্রবাসীদের ২৫ জন জামিনে মুক্ত
গত ১৮ আগস্ট সরকারের উদ্যোগে ভিয়েতনাম থেকে দেশে ফেরেন ১০৬ জন কর্মী। ১৪ দিনের আনুষ্ঠানিক সঙ্গনিরোধ শেষে ৮১ জনকে পাঠানো হয় কারাগারে। তাঁদের বিরুদ্ধে তুরাগ থানার দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, তাঁরা বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। ছাড়া পেলে তাঁরা জঙ্গি নাশকতাসহ নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারে।
ভিয়েতনাম প্রবাসীদের আইনি সহায়তা দিতে কাজ করছে বেসরকারি খাতের অভিবাসন বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরু ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা। গত বৃহস্পতিবার মোট ২৭ প্রবাসীর জামিন হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জন ভিয়েতনাম ও দুজন কাতার প্রবাসী। আজ শনিবার তাঁরা কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বাকি ৫৬ জনের করোনা পরীক্ষার সনদ গত বৃহস্পতিবার জমা দেওয়া হয়েছে। রোববার জামিনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
Also Read: লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা