Thank you for trying Sticky AMP!!

এফডিসিতে আগের মতো অনিয়ম চলবে না: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)

এফডিসিতে নানা অনিয়মের বিষয়ে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। আবার এটিও সত্য যে এফডিসিতে দেখা যাচ্ছে—কোনো যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হলো, কিন্তু সেটি চালানোর মতো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। একটি যন্ত্রপাতি কেনার সময় কিছু পার্টস মিসিং থাকায় সেটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ রকম হয়ে আসছে। এগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এফডিসিতে আগের মতো এসব অনিয়ম চলবে না।

আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম সিনেপ্লেক্স সিলভার স্ক্রিনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এবং বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সংকটকাল গেছে, এখন উত্তরণ ঘটছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলচ্চিত্রের জন্য আগে পাঁচ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হতো। এখন দেওয়া হবে ১০ কোটি টাকা। আগে একটি ছবির জন্য সরকার ৬০ লাখ টাকা অনুদান দিত। এখন শর্ত সাপেক্ষে সেটি ৭৫ লাখ টাকা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রেক্ষাগৃহ খোলার বিষয়ে যদি মালিকেরা উদ্যোগ নেন সে ক্ষেত্রে তাদের যেন সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া যায় সেটি ভাবা হচ্ছে। এর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন প্রেক্ষাগৃহ খোলার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অমিতাভ রেজা এফডিসি কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়ম নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, ‘সরকার চলচ্চিত্রের জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করছে। কিন্তু মাঝখানের কিছু ‘চোর-ছ্যাচড়ার’ কারণে আমাদের চলচ্চিত্র এগোচ্ছে না। টাকা মেরে দেওয়া হচ্ছে। আমি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদানের আবেদন করলে দেখি একজনে বলছে পাঁচ লাখ টাকা দেন পেয়ে যাবেন। এখন সরকার নানা জায়গায় দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। আমরা চাই সিনেমা হলগুলোর দিকেও বিষয়টি আসুক।’

কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাংসদ ওয়াসিকা আয়শা খান, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণের ম রমিজউদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ আশিক রহমান। দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের সহযোগী সম্পাদক কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পত্রিকাটির সম্পাদক রুশো মাহমুদ।