Thank you for trying Sticky AMP!!

এবার হজের খুতবা দেবেন নতুন শাইখ বিচারপতি হুসাইন

৯ জিলহজ (২০ আগস্ট) আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেওয়া হবে। প্রতিবছর বাংলাদেশ টেলিভিশন হজের এ খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করে। খুতবা প্রদান করবেন নতুন শাইখ বিচারপতি হুসাইন ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হাসান ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হুসাইন আল শেখ।
সৌদি আরবের প্রেস এজেন্সি এএসপি সূত্রে জানা যায়, হারামাইন আশ-শরিফাইনের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ এক রাজকীয় ফরমান জারির মাধ্যমে এ বছর আরাফাতের ময়দানে খতিব হিসেবে হুসাইন ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হাসান ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হুসাইন আল শেখকে নিয়োগ দেন।

শায়খ হুসাইন পবিত্র মসজিদে নববির ইমাম ও খতিব। তিনি মদিনার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির দায়িত্বও পালন করছেন।

বিচারপতি শায়খ হুসাইন ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হাসান ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হুসাইন আল শেখ বনি তামিম গোত্রের শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাবের বংশধর।

ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী শায়খ হুসাইন প্রাথমিক শিক্ষা শেষে আশ-শারইয়া কলেজ থেকে স্টার মার্ক পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। উচ্চতর পড়াশোনায়ও তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। শায়খ হুসাইন আলুশ শায়খ ইসলামিক আইনের ওপর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় বেশ সুনাম অর্জন করেন। ইসলামি আইন শাস্ত্রের পাশাপাশি তিনি সমাজকর্মসহ আইন শাস্ত্রের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে বিচারপতি শায়খ হুসাইন ১৪০৬ হিজরিতে মদিনার বিচার বিভাগীয় সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৪১১ হিজরিতে তিনি নাজরানের হাইকোর্টে যোগ দেন। নাজরানে এক বছর থাকার পর ১৪১২ হিজরিতে মদিনার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন তিনি। এখনো তিনি সেখানেই কর্মরত আছেন। বিচারপতি হওয়ার পর শায়খ হুসাইন আলুশ শায়খ ১৪১৮ হিজিরিতে মদিনার মসজিদে নববিতে ইমাম হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। সৌদি আরবের বাদশাহ খাদেমুল হারামাইন আশ-শরিফাইন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সাল থেকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মসজিদের খতিব ও আরাফার ময়দানের খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন দৃষ্টিহীন ইমাম শায়খ আবদুল আজিজ। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে অবসর গ্রহণ করেন।

২০১৬ সালে রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে নতুন খতিব হিসেবে মুফতি সালেহ বিন হুমাইদকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম ও খতিব নির্বাচিত করা হলেও তিনি হজের খুতবা দেননি। সে বছর প্রথমবারের মতো হজের খুতবা প্রদান করেন শায়খ আবদুর রহমান সুদাইস।