Thank you for trying Sticky AMP!!

এসএসসি ভকেশনালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল ইউসেপ বাংলাদেশ

এসএসসি (ভকেশনাল) পরীক্ষায় প্রশংসনীয় ফলাফলের জন্য সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে ইউসেপ বাংলাদেশ। সুবিধাবঞ্চিত এই শিক্ষার্থীরা ইউসেপ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইউসেপ বাংলাদেশের অফিসে শিক্ষার্থীদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে ইউসেপ বাংলাদেশের বিদ্যালয়গুলোর এসএসসি (ভকেশনাল) পরীক্ষায় পাশের হার ৯৮.১৭ %। সারা দেশে পাশের হার ৭২.২৪%। আরও আশার কথা হলো, এখানে মেয়ে শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৯৯%। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সর্বমোট ৩২৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩২১ জন পাশ করেছে। এদের মধ্য ২৫১ জন এ প্লাস পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ হোসেন মোল্লা এসএসসি (ভকেশনাল) পরীক্ষায় প্রশংসনীয় ফলাফলের জন্য ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলার জন্য কারিগরি শিক্ষা পদ্ধতির আধুনিকায়ন হয়েছে। আমাদের যে পরিমাণ দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে সেই তুলনায় দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে না। ইউসেপ বাংলাদেশ অবশ্য এই কাজটি বহুদিন ধরে বেশ সফলতার সঙ্গেই করে আসছে। এ প্রতিষ্ঠানের আওতায় কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ছেলেমেয়েরা দেশের নানা প্রতিষ্ঠানে সফলতার সঙ্গে কাজ করছে।

বিশেষ অতিথি ইএমকে সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আসিফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের শতকরা ৪১ ভাগের কোনো চাকরি, শিক্ষা এমনকি দক্ষতার কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এ অবস্থায় তরুণ বাংলাদেশিরা বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির অন্যতম বসবাসকারী হওয়া সত্ত্বেও একটি অনিশ্চিত ও নিরাপত্তাহীন ভবিষ্যতের মুখোমুখি হতে পারে। এটা শুধু চাকরির সুযোগের অভাবে নয়, এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবজনিত কারণও যুক্ত আছে। এমন একটি অবস্থায় ইউসেপ বাংলাদেশের তরুণদের জন্য বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত তরুণ-তরুণীদের জন্য কারিগরি শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে যা খুবই ইতিবাচক। তিনি প্রশংসনীয় ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।

ইউসেপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন ও পরিচালক মহুয়া রশিদ। এ ছাড়া দুজন শিক্ষার্থী এবং দুজন অভিভাবক ইউসেপ বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশনা করেন। শোকের মাস হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতিথিদের বক্তব্য ও শুভেচ্ছা প্রদান শেষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধান অতিথি ক্রেস্ট বিতরণ করেন। সবশেষে ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন।