Thank you for trying Sticky AMP!!

ঐতিহাসিক জাহাজ সংরক্ষণের উদ্যোগ

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত জাহাজ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সোনাকান্দায় শীতলক্ষ্যা নদীতে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এমভি একরাম জাহাজটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএর জেলা নদীবন্দর।

গতকাল রোববার বিকেলে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জাহাজটি পরিদর্শন করেন এবং এর সংরক্ষণে বন্দর থানার পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তাঁরা। যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য জাহাজটিকে বিআইডব্লিউটিএর অধীনে হস্তান্তরের জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গতকাল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর উপ-আনুষ্ঠানিক পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার নাম ভাঙিয়ে একটি মহল জাহাজটি কেটে বিক্রির চেষ্টা করছিল।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবারুদ বহনের কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল এমভি একরাম কার্গো জাহাজটি। মুক্তিযোদ্ধারা চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে এটি ডুবিয়ে দেন। ২০০৮ সালে বন্দরের সোনাকান্দা এলাকার মোক্তার হোসেন বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক থেকে নিলামে কিনে ডাকাতিয়া নদী থেকে একই বছরের ১৪ নভেম্বর জাহাজটি উদ্ধার করেন। পরে জাহাজটি বন্দরের সোনাকান্দায় শাহেন শাহর ডকইয়ার্ডে এনে রাখা হয়। জাহাজটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণের জন্য সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এটিকে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকে জাহাজটি শাহেন শাহর ডকইয়ার্ডেই আছে। জাহাজটি ১৯৬৫ সালে হল্যান্ডে নির্মিত হয়। একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি রেজিস্ট্রেশন হয় এমভি একরাম নামে। স্বাধীনতার পর জাহাজটি বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের অধীনে চলে আসে।

বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন বলেন, বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ও জাহাজ পরিদর্শন করে এর সংরক্ষণের জন্য প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছেন।