Thank you for trying Sticky AMP!!

ওজনের তুলনায় দাম পাচ্ছে না 'কালাবাবু'!

৪০ মণ ওজনের ষাঁড় ‘কালাবাবুকে’ লালন-পালন করে বড় করেছেন মালিক মেহেদি হাসান। ছবি: প্রথম আলো

ওজনের কারণে এলাকায় ‘কালাবাবুর’ বেশ পরিচিতি রয়েছে। এর ওজন মালিককেও গর্বিত করে। তবে মালিকের আফসোস একটাই, ওজনের তুলনায় দাম কম উঠছে ‘কালাবাবুর’। গত বছরের চেয়েও এবার দাম কম বলছেন ক্রেতারা।

৪০ মণ ওজনের ষাঁড় ‘কালাবাবুকে’ লালন–পালন করে বড় করেছেন মালিক মেহেদি হাসান। তিনি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা উত্তরপাড়া গ্রামে নিজের খামারে এটি লালন–পালন করেছেন।

মেহেদি হাসান জানান, গত বছর ঈদুল আজহায় ‘কালাবাবুর’ ওজন ছিল প্রায় ৩৭ মণ। তখন ঢাকার হাটে দাম উঠেছিল ৯ লাখ টাকা। বেশি দামের আশায় ষাঁড়টি তখন বিক্রি করেননি। এবার এক বছর লালন–পালনের পর ওজন বেড়েছে তিন মণ। কিন্তু দাম বাড়েনি। আট লাখ টাকা দাম চেয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না।

ছয় বছর বয়সী ‘কালাবাবু’ লম্বায় আট ফুট। এটি দেশীয় জাতের ষাঁড়। মেহেদি হাসানের খামারেই এর জন্ম। ষাঁড়টি দেখতে কালো বলে নাম রাখা হয় ‘কালাবাবু’। গত বছর ঈদুল আজহায় মেহেদি ১৫ লাখ টাকা দাম চেয়েছিলেন বলে জানান।

মেহেদি হাসান জানান, ‘কালাবাবু’ খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরামর্শে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। গত বছর ৯ লাখ টাকায় বিক্রি না করে এক বছর লালন–পালন করেছেন। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এবার আট লাখ টাকা দাম চেয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না। এতে তিনি বিপাকে পড়েছেন। এবার বিক্রি করতে না পারলে তাঁকে বড় লোকসানের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান।

বাসাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রৌশনী আকতার জানান, মেহেদি হাসান নিজের খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করেছেন। ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করা হচ্ছে। উপজেলায় এই ষাঁড়টিই সবচেয়ে বড়।