Thank you for trying Sticky AMP!!

কক্সবাজারে অতিভারী বৃষ্টি, চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কা

অতিভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়ক। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মাইন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের সামনে থেকে ছবিটি তোলা। ২৭ জানুয়ারি

মৌসুমি বায়ু ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে কক্সবাজারে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড়ধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগে ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামীকালকেও বৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে এ মাসজুড়ে বৃষ্টি থাকবে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় আজ আবহাওয়া অফিস বলেছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। অতিভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

পানি ঢুকে পড়ছে বসত ঘরে। ছবিটি আজ মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী লামার পাড়া থেকে তোলা।

অন্যদিকে দুপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী তিন দিনে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকা এবং দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাগুলোয় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ কারণে এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার নদীগুলোয় পানি সময়বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।

চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বলা হচ্ছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, এখন সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক রয়েছে। কারণ, সাগরে একটা লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বন্দরগুলোয় ঝোড়ো বাতাস থাকার আশঙ্কা রয়েছে। বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি বাড়বে। সারা দেশের নদীবন্দরগুলোয় ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।