Thank you for trying Sticky AMP!!

কবিতা পড়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বরণ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন কর্মকর্তারা।

‘গেঁথেছি মোরা বিজয়ের মালা
পরব তব গলে
বিজয়ের বেশে পরবেন তা মোদের অশ্রুজলে।

আপনার প্রেরণায় চলেছি আমরা সকলে একসাথে
আপনার আশীর্বাদ আমাদের সর্বদা পাথেয়।

আপনার নেতৃত্বে, আপনার মহাপরিকল্পনায়,
আমরা সব সময় এগিয়ে ছিলাম অন্যের তুলনায়।

নির্ভিকচিত্তে আমাদের অগ্রসর করিয়াছেন শুধু সম্মুখ পথে,
তাই, আবারও আপনার নেতৃত্বে
আগামীতেও চলব আমরা দুর্বার গতিতে।’

কবিতাটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের উদ্দেশে লিখেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদা খাতুন। গতকাল সোমবার শপথ গ্রহণের পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রীকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। তবে কারও কারও উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

রাজধানীর আবদুল গণি রোডে বিদ্যুৎ ভবনে প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর আয়োজন করেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিরিক্ত সচিব মাকসুদা খাতুন নিজের লেখা এই কবিতা আবৃত্তি করেন। নসরুল হামিদের ওপর লেখা কবিতাটি প্রশংসায় ভরপুর। মাকসুদা খাতুন টানা ১২ বছর এ বিভাগে রয়েছেন। সাধারণত পদোন্নতি হলে অন্যত্র বদলি করা হয় কর্মকর্তাদের। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগে গত ছয় মাস আগে যোগ দেওয়া অতিরিক্ত সচিব সেলিম আল মাহমুদ। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিদ্যুৎ বিভাগের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, কোম্পানিগুলোর প্রধানেরা প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

শুভেচ্ছার জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘এত ফুলের দরকার ছিল না। আমাকে শুভেচ্ছা জানালেই হতো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করা আনন্দদায়ক। উনি আস্থা রেখেছেন। সে কারণে তিনি এ মন্ত্রণালয়ে আবার আমাকে পাঠিয়েছেন। এই আস্থার মর্যাদা রাখতে হবে। এবার সাশ্রীয়মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করাই আমাদের লক্ষ্য।’

বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করেছি। এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিদ্যুৎ খাতের উন্নতি ধরে রাখতে হবে।’

এর আগে দুপুর ১২টায় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে সচিবালয়ে জ্বালানি বিভাগে কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। জ্বালানি বিভাগে নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা যাবে না, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, সামনে তিন মাসের মধ্যে পরিকল্পনা করতে হবে। আর পরের সাড়ে চার বছর হবে বাস্তবায়নের বছর। এবার তিনি জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বেশি সময় ব্যয় করবেন বলেও জানান।

জ্বালানি বিভাগের সচিব আবু হেনা রহমতুল মুনিম বলেন, ‘নতুন কেউ এলে তাঁকে নতুন করে জানতে নতুন করে ভাবতে হতো। এখন শুধুই কাজ এগিয়ে নেওয়া।’