Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনাভাইরাসের প্রভাবে যাত্রীসংকটে বাতিল হচ্ছে ফ্লাইট

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের প্রভাবে আকাশপথে প্রাচ্যের রুটগুলোয় যাত্রীসংখ্যা ব্যাপক হারে কমছে। যাত্রীসংকটে বাতিল হচ্ছে ফ্লাইট। ওই সব রুটের বিভিন্ন এয়ারলাইনস তাদের ফ্লাইটের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেখা দেওয়া কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুর আকাশপথে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের ফ্লাইট চলাচলে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। যাত্রীসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। অন্যান্য আকাশপথেও এর প্রভাব পড়েছে।

যাত্রীসংকটে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দিল্লির একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। গতকাল সোমবারও বিমানের একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

বিমানের ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ দুপুর ১২টায় বিমানের দিল্লিগামী ফ্লাইট ছিল। বিমানের ৭৩৭ মডেলের বোয়িং উড়োজাহাজটিতে আসনসংখ্যা ১৬১–এর মতো। অথচ যাত্রী পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ২৬ জন। এ উড়োজাহাজটিরই রাতের ফিরতি ফ্লাইটে যাত্রী পাওয়া যায় ৩১ জন। যাত্রীসংখ্যা কম হওয়ায় ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়।’ তিনি জানান, যাত্রীসংকটে গতকাল সকাল সোয়া আটটায় বিমানের ঢাকা-কুয়ালালামপুর ফ্লাইট বাতিল করা হয়। যাওয়ার সময় যাত্রী পাওয়া যায় ৩৮ জন। ফিরতি ফ্লাইটে পাওয়া যায় মাত্র ১৫ জন যাত্রী। পরে ওই যাত্রীদের সন্ধ্যা সাতটার অপর একটি ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। সেটি ১৩৫ জন যাত্রী নিয়ে যায়। ফিরে আসে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মহিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রাচ্যের রুটগুলোয় যাত্রীসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাবে যাত্রী কমছে, সেটা যেমন ঠিক, তেমনি এর প্রভাব তো সারা জীবন থাকবে না। তবে আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইটগুলো ঠিক আছে।’

যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় এয়ারলাইনসগুলো ফ্লাইটের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন, ইউএস–বাংলার প্রতিদিন চীনে একটি করে ফ্লাইট ছিল। এখন ইউএস–বাংলা ও চায়না সাউদার্ন সপ্তাহে তিন দিন এবং চায়না ইস্টার্ন সপ্তাহে চার দিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্ব দিকের রুটে যাত্রী একেবারেই কম। তবে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকায় যাত্রী আপাতত ঠিক থাকলেও করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে সেসব রুটেও প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।