Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনায় বড় প্রভাব বৈদেশিক কর্মসংস্থানে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন। গণভবন, ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর

করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর বৈদেশিক কর্মসংস্থানে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ বছর আগস্ট মাস পর্যন্ত এক লাখ ৮১ হাজার ২৭৩ জন মানুষের বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ গত বছর এই সময়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছিল ৪ লাখ ৬ হাজার ৯৬২ জন মানুষের। আর এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৭ লাখ মানুষের বৈদেশিক কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা এখনো অনেক দূরে।

আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারিকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে জানানো হয়। সেখানেই বৈদেশিক কর্মসংস্থানের এই চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ৪১ হাজার ৩৬ জন মানুষ দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৫৮৬ জন ট্রাভেল পাস নিয়ে এসেছেন। তাঁদের পুনরায় বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনার এই সংকটের মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রেকর্ড ১৮ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। যা আগের বছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সৌদিপ্রবাসীদের যাওয়া নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা করে সময় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। অনির্ধারিত আলোচনায় বৈদেশিক কর্মসংস্থানে নতুন জায়গা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী বৈঠকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।

আজকের বৈঠকে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো এত দিন নীতিমালা দিয়ে চলে আসছে। খসড়া আইন অনুযায়ী, নতুন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য মহানগর এলাকায় দুই একর এবং মহানগরের বাইরে চার একর জমি লাগবে। আর চালুর সময় ন্যূনতম শিক্ষার্থী থাকতে হবে ৫০ জন। প্রতি বিভাগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হতে হবে ১ অনুপাত ১০। স্থায়ী শিক্ষক হতে হবে ৭৫ শতাংশ।

বৈঠকে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি অষ্টম পর্বে সম্প্রসারণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই পর্বে আরও ২৭ জেলায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে।