Thank you for trying Sticky AMP!!

কর্ণফুলীর তীরের অবৈধ স্থাপনা সরাতে নির্দেশ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা অবিলম্বে অপসারণ করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অপসারণের আদেশ বাস্তবায়ন করে ৩০ দিনের মধ্যে বন্দরের চেয়ারম্যানকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৯ মে দিন রেখেছেন আদালত।

কর্ণফুলী নদী সীমানায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) গত রোববার ওই আবেদন করে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী সাহা।

কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম স্থগিত থাকার প্রেক্ষাপটে ওই আবেদন করা হয় বলে জানান মনজিল মোরসেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এইচআরপিবির করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এর আগে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ পাঁচ বিবাদীকে ওই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে যেসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা আছে, তা মূলত বন্দরের অধীনে। তাই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান যাতে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন, সে জন্য নির্দেশনা চেয়ে ওই আবেদন করা হয়।

কর্ণফুলী নদী রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে নয় বছর আগে হাইকোর্টে রিট করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইআরপিবি)। এর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন। রায়ে ওই নদীর তীরে থাকা ২ হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়ে অপসারণের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের দাখিল করতে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, বিষয়টি চলমান পর্যবেক্ষণ থাকবে।

মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুসারে ২০১৫ সালে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে, তার তালিকা আদালতে দাখিল করা হয়েছিল। এসব স্থাপনা উচ্ছেদে ২০১৬ সালে হাইকোর্ট রায় দেন। তবে রায় অনুসারে ব্যবস্থা না নেওয়ায় জেলা প্রশাসকসহ কয়েকজন বিবাদীর প্রতি আদালত অবমাননার রুল হয়। এরপর চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক উচ্ছেদ কার্যক্রম, যা পাঁচ দিন পর বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় ওই আবেদন করা হয়। আদালত চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের প্রতি ওই নির্দেশ দিয়েছেন।