Thank you for trying Sticky AMP!!

কর্মকর্তা না থাকায় সাজা হয় না পাখি শিকারির

রাজশাহীতে পদ্মা নদী থেকে ধরা ২৯টি চখাচখি পাখির শিকারিকে শনাক্ত করা গেছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ নেই। বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ বলছে, তাদের রেঞ্জ কর্মকর্তা না থাকার কারণে তারা মামলা করতে পারছে না।

২২ জানুয়ারি সকালে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে জাল পেতে ধরা ২৯টি চখাচখি উদ্ধার করা হয়। পাখিগুলো পরিযায়ী। পালক ভেঙে ও পা বেঁধে দুটি বস্তার ভেতর ভরে পাখিগুলো রাজশাহী শহরে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক শিকারি। রাজশাহীর বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যরা এই পাখিশিকারিকে ধরে ফেলেন। এ ইউনিটের একজন সদস্য জানান, একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বস্তা দুটি নিয়ে শিকারি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লিলবোনা এলাকা থেকে আসছিলেন। বস্তায় রক্ত দেখে আটকাতে গেলেই তিনি বস্তা ফেলে পালিয়ে যান। চালকও গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যান এই সুযোগে। কিছুক্ষণ পরে একজন নারী এসে সদস্যদের অর্ধেক পাখি নিয়ে মীমাংসার প্রস্তাব দেন। আটক করতে চাইলে ওই নারীও সেখান থেকে সটকে পড়েন। পরে তাঁর পরিচয় জানা যায়। তিনি ওই পাখিশিকারির স্ত্রী। তাঁর স্বামীকেও পরে শনাক্ত করা গেছে। স্থানীয় লোকজন তাঁদের জানিয়েছেন, মাছ ধরার কথা বলে জাল নিয়ে পদ্মায় গিয়ে ওই শিকারি নিয়মিত পাখি শিকার করেন। তিনি রাজশাহী শহরে এনে সেই পাখি চড়া দামে বিক্রি করেন।

কেন এই শিকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, জানতে চাইলে রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ) জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত হাতেনাতে ধরতে পারলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাখিশিকারিকে দণ্ড দেওয়া যায়। প্রমাণ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়া যায় কি না জানতে চাইলে এই বন কর্মকর্তা বলেন, রাজশাহীতে তাঁদের রেঞ্জের কর্মকর্তার পদটি দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী রেঞ্জের কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করে থাকেন। কর্মকর্তা না থাকার কারণে মামলা করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া নিয়মিত মামলা করার ক্ষেত্রেও আইনি জটিলতা আছে।

এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বিষ টোপে মরে যাওয়া ৮ থেকে ১০টি পরিযায়ী পাখি পানিতে ভাসতে দেখা যায়। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য হাসনাত রণী এই পাখিগুলোর ছবি তুলে আনেন। এরপরই ২৯টি চখাচখি ধরা পড়ার ঘটনা ঘটে। হাসনাত রণী জানান, পদ্মায় নিয়মিত পাখিশিকারিরা নামছেন। ব্যবস্থা নেওয়া না হলে শিকার বন্ধ হবে না।