Thank you for trying Sticky AMP!!

কর্মক্ষেত্রে দ্বন্দ্বের জেরেই প্রকৌশলী দেলোয়ার খুন

দেলোয়ার হোসেন

কর্মক্ষেত্রে দ্বন্দ্বের জের ধরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৭) নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনকে (৫০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেছে তাঁর পরিবার। পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তারাও তেমনই ভাবছেন। দেলোয়ারকে হত্যার ঘটনায় তাঁর কয়েকজন সহকর্মীকে এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

১১ মে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মিরপুরের বাসা থেকে অফিসে যাচ্ছিলেন প্রকৌশলী দেলোয়ার। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম দিকের একটি জঙ্গল থেকে দেলোয়ারের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খোদেজা আক্তার তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা দেলোয়ার হোসেন ২০১৫ সাল থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। তিন ছেলেসন্তান ও স্ত্রী নিয়ে মিরপুর ২ নম্বরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখান থেকে গাজীপুরে কোনাবাড়ীর কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করতেন। 

দেলোয়ারের স্ত্রী খোদেজা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, সহকারী প্রকৌশলী পদে থাকা দেলোয়ারের এক সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। দেলোয়ারের বিভিন্ন কাজে তিনি প্রভাব খাটাতে চাইতেন। ওই সহকর্মীর প্রভাবেই ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেলোয়ারকে গাজীপুরের নগর ভবনে সরিয়ে আনা হয়। নগর ভবনে তিনি এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। এরপর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় আবারও তাঁকে কোনাবাড়ীতে পাঠানো হয়। কোনাবাড়ীতে দেলোয়ারের আবারও যাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি তাঁর সহকর্মী। খোদেজা আক্তার বলেন, ওই সহকর্মীর যোগসাজশেই দেলোয়ারকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। 

এই হত্যা মামলার তদন্তকারী তুরাগ থানার পরিদর্শক (অভিযান) শেখ মফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কর্মক্ষেত্রে দ্বন্দ্বের জের ধরেই দেলোয়ারকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান সরদার প্রথম আলোকে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

জানতে চাইলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দেলোয়ারের এক সহকর্মীকে তদন্তের আওতায় নেওয়া হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে দেলোয়ারকে হত্যা করা হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’