Thank you for trying Sticky AMP!!

কাপাসিয়ায় কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব বিদ্যালয় বন্ধ তিন দিন

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে একটি বিদ্যালয়ে তিন দিন ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এই বিদ্যালয়ের নিখোঁজ থাকা প্রধান শিক্ষককে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বহিরাগতদের হামলায় আট শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহতরা হচ্ছে জহিরুল, সবুজ, কাওছার, মাসুম, ইমরান, কামাল, নাজমুল ও সজীব। তাদের বাড়ি কাপাসিয়া উপজেলার কিতুর্নিয়া এলাকায়।
শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে বারিষাব ইউনিয়নের কিতুর্নিয়া ইউছুব আলী ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয়ে নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে দুটি প্যানেল জমা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক একটি প্যানেল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়ে আরেকটি গায়েব করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আলমগীর হোসেন সভাপতি নির্বাচিত হন।
কমিটি গঠনের পরপরই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া নিখোঁজ হন। তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যালয়ের কার্যালয় ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করছে। গতকাল আবারও বিক্ষোভ মিছিল বের করলে বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। স্থানীয় সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, সম্প্রতি আগের কমিটির সভাপতি বাছির মোত্তাকিন প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহ্ ভূঁইয়ার যোগসাজশে টাকার বিনিময়ে তিনজন শিক্ষক নিয়োগের পাঁয়তারা করেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাঝপথে কমিটি পরিবর্তন হওয়ায় তাঁদের সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। এ পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীদের রোষানল থেকে বাচঁতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় কমিটির সদস্যদের মদদ রয়েছে বলে প্রচার হয়। এ অবস্থায় কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করছে।
ব্যবস্থাপনা কমিটির বিদায়ী সভাপতি বাছির মোত্তাকিন জানান, প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দেওয়া তাঁর প্যানেল স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল ছিনিয়ে নিয়েছে। ফলে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে গতকাল রাত নয়টার দিকে প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহ্ ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া যথাযথ হয়েছে। তবে কী কারণে প্রধান শিক্ষক নিখোঁজ রয়েছেন, তা তিনি জানেন না। ওই বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য আজ মঙ্গলবার বৈঠক করা হবে।