Thank you for trying Sticky AMP!!

কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে কারাগারে

নায়াব ইউসুফ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দায়ের করা একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নায়াব ইউসুফের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বিকেলে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।

নায়াব ইউসুফ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে। কামাল ইবনে ইউসুফ এবারের সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নায়াব ইউসুফ ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী, আজ দুপুরে জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন নায়াব ইউসুফ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে নায়াব ইউসুফের পক্ষে আইনজীবী শহীদুল্লাহ জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, মামলার এজাহারে চৌধুরী নায়াব ইউসুফের নাম যুক্ত করা হলেও তিনি ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না। এ ছাড়া নিহতের ইনজুরি রিপোর্টেও আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তাই এটি আদৌ হত্যা মামলা কিনা সেটিই বিচার্য বিষয়। বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি খণ্ডন করে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি প্রদীপ কুমার দাসসহ রাষ্ট্রপক্ষের অন্যরা জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, এজাহার অনুযায়ী তিনি সরাসরি এই মামলায় সম্পৃক্ত না হলেও তাঁর হুকুমেই এই ঘটনা ঘটে এবং তাঁকে প্রধান আসামি করা উচিত ছিল।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মামলার শুনানি শেষে আদালত নায়াব ইউসুফের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গিতে একটি চায়ের দোকানে কথা-কাটাকাটির ফলে ইউসুফ ব্যাপারী নামে এক ব্যক্তি ঘুষি খেয়ে আহত হয়ে পরে মারা যান। এ ঘটনায় ইউসুফের ভাই মো. সোহরাব ব্যাপারী বাদী হয়ে ১২ ডিসেম্বর বিএনপির ৩৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। এজাহারের ৩৯ জন আসামির মধ্যে নায়াব ইউসুফের নাম ছিল ৩৮ নম্বরে। মামলায় তিনি হুকুমের আসামি ছিলেন।