Thank you for trying Sticky AMP!!

কালভার্ট ভাঙা পাঁচ মাস, ১১ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

রানীনগরের বেলঘড়িয়া-বিলকৃষ্ণপুর রাস্তার এই কালভার্ট ভাঙা থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন ১১টি গ্রামের মানুষ। ছবিটি গত মঙ্গলবারের l প্রথম আলো

নওগাঁর রানীনগরের বেলঘড়িয়া-বিলকৃষ্ণপুর রাস্তার একটি কালভার্টের একাংশ ভেঙে যাওয়ার পর প্রায় পাঁচ মাস পার হলেও
সেটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ প্রায় ১১ গ্রামের বাসিন্দাদের।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বেলঘড়িয়া-বিলকৃষ্ণপুর রাস্তার বিলকৃষ্ণপুর বাজারের কাছে কালভার্টটির পাটাতনের মাঝখানে গত জুন মাসে ভেঙে যায়। এরপর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অটোরিকশা, ভটভটিসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করত। ভাঙা অংশের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় বর্তমানে কালভার্টের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার বোদলা, পালশা, তেবাড়িয়া, বিলকৃষ্ণপুরসহ প্রায় ১১টি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় বিলকৃষ্ণপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, বাজারের প্রবেশমুখে কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে ধান, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনে একদিকে যেমন বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যাপক লোকসানের শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বিলকৃষ্ণপুর বাজারের ধান-চাল আড়তদার নুরুল হক, মমিনুল হকসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, কালভার্টটি দীর্ঘদিন থেকে ভাঙা থাকায় ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া কালভার্টের ওপর কাঠ বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দু-একটি যানবাহন পারাপার হলেও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কয়েক হাজার মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহন করতে পারছে না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আতাউল হক বলেন, ‘কালভার্টটি নির্মাণ করার জন্য চেয়ারম্যানসহ আমরা বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ পর্যন্ত তাঁরা আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।’
উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘কালভার্টটি পুনরায় নির্মাণ করার জন্য আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিগগিরই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্মাণকাজ শুরু হবে।’