Thank you for trying Sticky AMP!!

কিশোরগঞ্জে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দায়ে একজনের কারাদণ্ড

দণ্ডপ্রাপ্ত কালোবাজারি ফজলুল করিম। কিশোরগঞ্জ, ২২ মে। ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দায়ে মো. ফজলুল করিম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আক্তার এই দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ফজলুল করিম কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশনের গেটম্যান হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া স্টেশনে এক ক্রেতার কাছে নির্ধারিত চারটি টিকিটের চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি করায় কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী রেদোয়ান কবিরকে সতর্ক করা হয়।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আক্তার বলেন, কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারি হয়, এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সে কারণে তিনি আজ বুধবার অভিযান চালান এবং হাতেনাতে একজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেন। এর সঙ্গে আরও যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

স্টেশনে উপস্থিত যাত্রীরা অভিযোগ করেন, কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে অগ্রিম টিকিট কিনতে গেলে টিকিট পাওয়া যায় না এবং কালোবাজারে টিকিট বিক্রি হয়। করিমগঞ্জ থেকে আসা আবু হানিফ নামে এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ঢাকাগামী আন্তনগর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য তিনি কাউন্টারে আসেন। কাউন্টার থেকে তাঁকে জানানো হয়, ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি শেষ। কিন্তু কাউন্টারের কাছেই এক কালোবাজারিকে ঘুরতে দেখেন। তাঁর কাছে প্রথম শ্রেণিসহ সব ধরনের টিকিট পাওয়া যায়। কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে কালোবাজারির কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে তিনটি টিকিট কিনতে বাধ্য হন বলে জানান তিনি। আরও কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, টিকিটের জন্য কাউন্টারে গেলে বলা হয়, ট্রেনের টিকিট সব আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। অথচ ট্রেনে ওঠার পর দেখা যায়, অনেক আসনই ফাঁকা।

কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশনমাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, টিকিট কালোবাজারির জন্য তাঁরা দায়ী নন। অনেকেই ক্রেতা সেজে কাউন্টারের সামনে সারিতে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনেন। পরে হয়তো সেসব টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করেন। আর এ সুযোগটা মূলত যাত্রীরাই করে দেন। কারণ তাঁরা শেষ মুহূর্তে এসে টিকিট সংগ্রহ করতে চান। তখন কাউন্টারে না পেয়ে অন্যভাবে সংগ্রহ করেন। তিনি আরও বলেন, এখন ৫০% টিকিট অ্যাপসের মাধ্যমে আর ১৫% এসএমএসের মাধ্যমে চলে যায়। কাজেই কাউন্টারে টিকিটের সংখ্যা এমনিতেই কম থাকে।