Thank you for trying Sticky AMP!!

কিশোরগঞ্জ ও ফরিদপুরে মন্দিরে আট প্রতিমা ভাঙচুর, আগুন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পৌর এলাকা এবং ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাতে এই দুই এলাকায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌর এলাকার কুলেশ্বরী দেবালয়ের কৃষ্ণমন্দিরের সাতটি প্রতিমা ভাঙচুর ও একটি ত্রিপলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। কুলেশ্বরী দেবালয় কমিটির সহসভাপতি রতন চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও দেবালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে মন্দিরের পুরোহিত রতন চন্দ্র চৌধুরী মন্দিরে এসে দেখেন, ভাঙা অবস্থায় সাতটি প্রতিমা মাটিতে পড়ে আছে। মন্দিরের ত্রিপলটি দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে ফেলেছে।

হোসেনপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতের কোনো এক সময় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুর করে। তারা প্রতিমার ওপরের ত্রিপলটি খুলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দুর্বৃত্তরা এ কাজ করতে পারে। জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দত্ত রায় বলেন, হোসেনপুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপজেলা। প্রতিবছর এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নানে আসেন। তাঁরা মন্দিরে আসেন এবং রথ থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনেন। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পরিকল্পিতভাবে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ফরিদপুরের শ্যামপুর গ্রামে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পরিমল চন্দ্র ভৌমিক জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুর করে। গতকাল সকালে মন্দিরে গিয়ে প্রতিমার মাথা ভাঙা দেখা যায়।  সদরপুর থানার ওসি মোহামঞ্চদ আলী বলেন, এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লোকমান হোসেন বলেন, মন্দিরটির একদিকে পাটখড়ির বেড়া ও বাকি তিন দিক ফাঁকা। ওপরে টিনের চালা। মন্দিরটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।