কিশোরী গণধর্ষণ: চার আসামির জবানবন্দি
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন চার আসামি। আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
স্বীকারোক্তি দেওয়া চার আসামি হলেন- শরীয়তপুরের রতন (১৮) ও সিফাত (১৮), ভোলার হাসান (১৮) এবং পটুয়াখালীর সবুজ (১৮)। এ ছাড়া এই মামলায় অভিযুক্ত ১৪ বছরের এক কিশোরীকে টঙ্গীর কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচরের পরিদর্শক সিকদার মহিতুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান আসামি রতনসহ মোট চার আসামি ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন। মূল আসামি রতন পেশায় অটোরিকশাচালক।
কামরাঙ্গীরচর থানা-পুলিশ ঢাকার আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছে, ৯ জানুয়ারি ভুক্তভোগী কিশোরীর সঙ্গে মামলার আসামি ওই কিশোরীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় দেখা হয়। পরে আসামি ওই কিশোরী ভুক্তভোগী কিশোরীকে ডেকে আসামি রতনের কাছে নিয়ে যায়। রতন আর আসামি কিশোরী একই বাসায় থাকে। রতনের পরিকল্পনায় আসামি হাসান, সিফাত, সবুজ ও রনি ভুক্তভোগী কিশোরীকে কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাসার দোতলায় নিয়ে যান। এরপর সবাই মিলে ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
পরিদর্শক সিকদার মহিতুল আলম বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরী এখনো ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ধর্ষণকারীরা একটি চক্রের সদস্য। এর আগেও তাঁরা ছোটখাটো নানা অপরাধ করেছেন।
আরও পড়ুন
-
নারী আম্পায়ারের ম্যাচ আসলেই কি খেলতে চাননি মুশফিক–মাহমুদউল্লাহরা
-
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা: প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট
-
রাফায় এক পরিবারের ৯ জন নিহত, শুধু বেঁচে রইল মেয়েশিশুটি
-
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আবারও বিএসইসি চেয়ারম্যান, যেমন ছিল তাঁর আগের ৪ বছর
-
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যে বদল এসেছে